বড় ভাইয়ের মৃত্যুর খবরে মারা গেলেন ছোট ভাই

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি শরীয়তপুর
প্রকাশিত: ০৩:৪৬ পিএম, ১৩ নভেম্বর ২০২৪

শরীয়তপুরের আংগারিয়ায় বড় ভাই জাহাঙ্গীর শিকদারের (৪৫) মৃত্যুর খবর শুনে ছোট ভাই মোহাম্মদ আলী (৪২) মারা গেছেন। বুধবার (১৩ নভেম্বর) ভোরে সদর উপজেলার আংগারিয়া ইউনিয়নের খায়েরচর এলাকায় ঘটে এ ঘটনা। মৃত জাহাঙ্গীর শিকদার ও মোহাম্মদ আলী ওই এলাকার নুরুল হক শিকদারের ছেলে।

নিহতের স্বজনরা জানান, জাহাঙ্গীর পেশায় একজন বাসচালক। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে স্বজনরা তাকে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। এদিকে বড় ভাইয়ের মৃত্যুর খবর জানতে পেরে নিজ কর্মস্থল মাদারীপুরের খাগদী এলাকার একটি মাদরাসায় বসে অসুস্থ হয়ে পড়েন ছোট ভাই মাদরাসা শিক্ষক হাফেজ মোহাম্মদ আলী। পরে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকেও মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। এদিকে দুই ভাইয়ের এমন মৃত্যুর খবর পেয়ে এলাকাজুড়ে নেমে আসে শোকের ছাড়া। দুজনের জন্য পাশাপাশি খোড়া হচ্ছে দুটি কবর।

নিহতের ছোট ভাই কানন শিকদার বলেন, আমরা ছয় ভাই। ভাইদের মধ্যে ভালো সম্পর্কে। গতকাল রাতে মেজো ভাই জাহাঙ্গীর শিকদার স্ট্রোক করে অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান। পরে তাকে নিয়ে বাড়ি ফিরে সব আত্মীয়দের খবর দেই। এই খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নোয়া ভাই হাফেজ মোহাম্মদ আলীও স্ট্রোক করেন। পরে তিনিও ইন্তেকাল করেন। বড় দুই ভাইয়ের এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারছি না।

বড় ভাইয়ের মৃত্যুর খবরে মারা গেলেন ছোট ভাই

নিহতদের মামা জব্বর তালুকদার বলেন, ভাইদের মধ্যে এতটাই মহব্বত ছিল যে, যে কোনো অনুষ্ঠানে এক সঙ্গে অংশগ্রহণ করতেন। আজ বড় ভাইয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে ছোট ভাইও মারা গেল। এটা আসলে মেনে নেওয়া আমাদের জন্য কষ্টকর। তাদের দুজনকে জানাজা শেষে পাশাপাশি কবর দেওয়া হবে।

এ ব্যাপারে শরীয়তপুর আন্তঃজেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যকরী সভাপতি এলিম পাহাড় বলেন, জাহাঙ্গীর আমাদের সুপার সার্ভিস পরিবহনের চালক ছিলেন। আমাদের সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক ছিল। ভোরবেলা ওর মরদেহ বাড়িতে পৌঁছে দেই, এর কিছুক্ষণ পর জানতে পারি তার মৃত্যুর খবর পেয়ে ছোট ভাইও মারা গেছেন।

বিধান মজুমদার অনি/জেডএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।