অবৈধ সম্পদ অর্জন
রাজশাহীতে আ’লীগ নেতার বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট
রাজশাহীতে অবৈধভাবে এক কোটি ৩৬ লাখ ৫৫ হাজার ১৮৩ টাকা মূল্যের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি অর্জন করায় মো. আতিকুর রহমান কালু নামে আওয়ামী লীগের এক নেতার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দিয়েছে দুদক।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সকালে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আমির হোসাইন আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেন।
মো. আতিকুর রহমান কালু রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া (পূর্ব) থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং নগরীর রানীবাজার এলাকার মৃত তৈমুস হোসেনের ছেলে।
চার্জশিট সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের পহেলা আগস্ট দুদকের রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের তৎকালীন উপ-পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে ওই আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওই মামলার তদন্তভার দেওয়া হয় সহকারী পরিচালক মো. আমির হোসাইনকে।
এর আগে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পেয়ে আতিকুর রহমান কালুর সম্পদ বিবরণী দাখিলের নির্দেশ দেয় দুদক। গত বছরের ১৫ জানুয়ারি তিনি দুদকে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন। এতে তিনি নিজ নামে ৯ কোটি ৬১ লাখ ৫০ হাজার ৯১৭ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ দেখান। কিন্তু অনুসন্ধানে গিয়ে দুদক জানতে পারে তার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ১১ কোটি ১৪ লাখ ৫৭ হাজার ৪৩২ টাকা। এরমধ্যে এক কোটি ৫৩ লাখ ছয় হাজার ৫১৫ টাকার সম্পদের কোনো বৈধ উৎস পায়নি দুদক।
অন্যদিকে আসামির আয়কর নথির তথ্য অনুযায়ী, ২০০৯-১০ থেকে ২০২২-২৩ করবর্ষ পর্যন্ত ১২ কোটি ৩৮ লাখ ১৭ হাজার ৮৩০ টাকা আয়ের তথ্য পাওয়া যায়। তাছাড়া আয় এবং দায়-দেনাসহ ১২ কোটি ৬৮ লাখ ১৭ হাজার ৮৩০ টাকা গ্রহণযোগ্য উৎসের আয় পাওয়া যায়। পারিবারিক ব্যয় বাবদ তিনি দুই কোটি ৯০ লাখ ১৫ হাজার ৫৮১ টাকা খরচ করেছেন। এ ক্ষেত্রে তার আয়-বহির্ভূত সম্পদ পাওয়া যায় এক কোটি ৩৬ লাখ ৫৫ হাজার ১৮৩ টাকা। এ দুই অপরাধে তার বিরুদ্ধে প্রথমে মামলা হয়। পরে মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. আমির হোসাইন জানান, আসামির বিরুদ্ধে শাস্তিযোগ্য অপরাধের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। এজন্য তার বিরুদ্ধে মহানগর দায়রা জজ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে।
সাখাওয়াত হোসেন/আরএইচ/এমএস