জনবল সংকটে ধুঁকছে মিরসরাই উপজেলা মৎস্য অফিস

উপজেলা প্রতিনিধি উপজেলা প্রতিনিধি মিরসরাই (চট্টগ্রাম)
প্রকাশিত: ০৩:৫১ পিএম, ১১ নভেম্বর ২০২৪

জনবল সংকটে ধুঁকছে চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলা মৎস্য অফিস। এতে করে সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন মৎস্যজীবীরা। প্রায় পাঁচ লাখ জনবসতির এই উপজেলায় গত কয়েক বছর ধরে ছয়টি পদের পাঁচটিই শূন্য। মাত্র একজন কর্মকর্তা দিয়ে চলছে অফিস। ফলে দপ্তরটি চালাতে গিয়ে বেকায়দায় পড়তে হচ্ছে সংশ্লিষ্টদের।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চট্টগ্রাম জেলায় মাছ উৎপাদনে মিরসরাইয়ের অবস্থান প্রথম। রুই, কাতলা, মৃগেল, কার্প, তেলাপিয়া, গুলশা, পাবদা, কৈ, শিং, মাগুর, পাঙাশ উৎপাদন হয়। এ উপজেলায় ১৩শ ৫০ খামারির সরকারি হিসেবে ২৭টি খাস পুকুর, বেসরকারি তিন হাজার ৭৮০টি পুকুর রয়েছে। যাতে ৫৪ হাজার ৪৯৮ টন মাছ উৎপাদন হয়।

উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, এ দপ্তরে অনুমোদিত পদ সংখ্যা হলো ছয়টি। বর্তমানে কর্মরত রয়েছে একজন। তিনি উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা। অবশিষ্ট পাঁচটি পদ শূন্য।

পদগুলো হলো- মৎস্য সম্প্রসারণ ও মান নিয়ন্ত্রণ অফিসার, উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা, এই দুটি পদ প্রায় পাঁচ বছর ধরে শূন্য। এছাড়া ক্ষেত্র সহকারী পদটি দেড় বছর ধরে শূন্য। আর অফিস সহকারী পদটি শূন্য এক বছর, অফিস সহায়ক পদটি শূন্য প্রায় পাঁচ বছর।

দীর্ঘদিন এ পদগুলোতে লোকবল না থাকায় স্বাভাবিক কার্যক্রমে অসুবিধা হচ্ছে। ফলে সময় মতো কাজ করতে পড়তে হচ্ছে বেকায়দায়।

এদিকে মৎস্য চাষিরা বলছেন, অফিসে লোকবল না থাকলেও মৎস্য অফিসার প্রতিনিয়ত আমাদের খোঁজ রাখেন এবং সহযোগিতা করেন।

এ বিষয়ে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা নাসিম আল মাহমুদ বলেন, অফিসে আমি একজন। দীর্ঘদিন এসব পদে লোকবল না থাকায় কোনো না কোনোভাবে কাজগুলো ম্যানেজ করে নিচ্ছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জনবল সংকটের বিষয়টি জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শ্রীবাস চন্দ্র বলেন, ইতিমধ্যে মৎস্য ভবন থেকে বড় ধরনের সার্কুলার হয়েছে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে সেটি কমপ্লিট হবে। সেখান থেকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মিরসরাইতে কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হবে।

এম মাঈন উদ্দিন/জেডএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।