আগাম ফুলকপির ভালো দামে খুশি কৃষকরা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি লালমনিরহাট
প্রকাশিত: ০১:৩২ পিএম, ১১ নভেম্বর ২০২৪

লালমনিরহাটে বন্যামুক্ত ও ভারী বর্ষণ না থাকায় চলতি মৌসুমে ফুলকপির বাম্পার ফলন হয়েছে। ফুলকপি জেলার চাহিদা পূরণ করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় রপ্তানি হচ্ছে। এতে ভালো দাম পেয়ে খুশি কৃষকরাও। ফুলকপির পাশাপাশি আগাম জাতের বাঁধাকপি, বেগুন, মুলা, লাল শাক, পালং শাক, ধনেপাতা, টমেটো ও পটল চাষাবাদ করেছেন তারা।

প্রতি বছর লালমনিরহাটের সদর, আদিতমারী, কালিগঞ্জ ও পাটগ্রাম উপজেলায় ব্যাপকভাবে আগাম সবজি চাষাবাদ হয়।

সরেজমিনে পাটগ্রাম উপজেলার বাউরা হোসনাবাদ গ্রামে দেখা গেছে, ভোর থেকে ফুলকপি বিক্রির ধুম পড়ে যায় গ্রামগুলোতে। পাইকাররা আসেন বিভিন্ন জেলা থেকে। কৃষাণ-কৃষাণী দলবেঁধে জমি থেকে ফুলকপি সংগ্রহ করে তা ওজনের পর বিক্রি হয়।

আগাম ফুলকপির ভালো দামে খুশি কৃষকরা

পাটগ্রাম উপজেলার বাউরা গ্রামের ফাতেমা আক্তার বলেন, চার বিঘা জমি লিজ নিয়ে ফুলকপি চাষাবাদ করেছি। ভালো ফলন হয়েছে। ভালো দাম পাওয়ার জন্য স্বামীর সহযোগিতায় ট্রাকে করে ফুলকপি ঢাকার কারওয়ান বাজারে নিয়ে যাচ্ছি।

কৃষকরা বলছেন, রোগবালাই কম থাকায় আগাম জাতের ফুলকপির বাম্পার ফলন হয়েছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ফুলকপিতে অধিক মুনাফা অর্জন করছি। আগাম ফুলকপি পাওয়ায় ক্রেতাদের কাছে এর চাহিদাও বেড়েছে। বর্তমানে বাজারমূল্য বেশি পাওয়ায় চাষিরাও লাভবান হচ্ছেন। পাইকারি দরে প্রতি কেজি ফুলকপি ৪০-৫০ টাকা ও প্রতি পিস ২০-২৫ টাকায় বিক্রি করছেন কৃষকরা।

লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, বর্ষার পরপরই শীতে আগে আগস্ট মাসে ফুলকপির চারা রোপণ হয়। আগামী ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত ফলন পাওয়া যাবে। এবার জেলায় ২২০ হেক্টর জমিতে ফুলকপি চাষাবাদ হয়েছে। কম সময়ে ভালো ফলন হওয়ার পাশাপাশি অধিক মুনাফা পাওয়ায় অনেক চাষি এখন ফুলকপি চাষে ঝুঁকছেন।

আগাম ফুলকপির ভালো দামে খুশি কৃষকরা

ফুলকপি চাষি পাটগ্রাম উপজেলার হোসনাবাদ গ্রামের মহির উদ্দিন বলেন, সাড়ে পাঁচ বিঘা জমিতে ফুলকপি চাষ করেছি। খরচ হয়েছে দেড় লাখ টাকা। আশা করি চার লাখ টাকার ফুলকপি বিক্রি হবে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর ভালো ফলন হয়েছে।

সবজি ব্যবসায়ী লিটন বলেন, আমরা প্রতিদিনই ট্রাকভর্তি করে কৃষকদের ফুলকপি দেশের বিভিন্ন জেলায় পাঠিয়ে থাকি। বর্তমানে ফুলকপির চাহিদা ব্যাপক। দাম ভালো। চাষিরা লাভবান হচ্ছেন।

লালমনিরহাট জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ডা. মো. সাইখুল আরিফিন বলেন, লালমনিরহাট তিস্তা বিধত জেলা হলেও এর অধিকাংশ জমি উঁচু। মাঝারি উঁচু জমি শাকসবজি আবাদের উপযোগী। মোটামুটি আগাম শাকসবজি আবাদ হয়েছে। বর্ষার পরপরই শীতের আগ মুহূর্তেই শাকসবজি তুলনামূলক কম থাকে। এই মুহূর্তে যারা আগাম সবজি আবাদ করবেন, তারা নিঃসন্দেহে বাজারে ভালো দাম পাবেন।

রবিউল হাসান/জেডএইচ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।