বিএনপি নেতার গুদাম থেকে প্রণোদনার ৩১৫ বস্তা সার জব্দ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ময়মনসিংহ
প্রকাশিত: ০৮:৩১ পিএম, ০৭ নভেম্বর ২০২৪

ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় সাবেক বিএনপি নেতা মাজহারুল আহসানের গুদাম থেকে ৩১৫ বস্তা বিনামূল্যের প্রণোদনার সার জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনার পর গুদাম সিলগালা করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিশাত শারমিন।

মাজহারুল আহসান ধোবাউড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক কোষাধ্যক্ষ ও যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক। বর্তমানে তিনি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। তবে দলীয় কোনো পদে নেই। ধোবাউড়া মধ্যবাজারের মেসার্স আর এম ট্রেডার্স নামে তার একটি সারের দোকান রয়েছে। তিনি বিএডিসির সার ডিলার।

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ধোবাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিশাত শারমিন জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রণোদনার দুই ট্রাক সার বিএডিসি থেকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল উপজেলা কৃষি কার্যালয়ে। দুই ট্রাকে এমওপি ও ডিএপি ৬৩০ বস্তা সার ছিল। ৩ নভেম্বর এসব সার সরকারি গুদামে যাওয়ার কথা। তবে ৩১৫ বস্তার এক ট্রাক সার যায় বিএনপি নেতা মাজহারুল আহসানের গুদামে।

স্থানীয় সংবাদকর্মীদের কাছ থেকে এমন তথ্য পেয়ে বুধবার বিকেলে ধোবাউড়া মধ্যবাজারে মেসার্স আর এম ট্রেডার্স নামে তার একটি সারের দোকানে অভিযান চালিয়ে ৩১৫ বস্তা সার জব্দ করা হয়। একই সঙ্গে সিলগালা করা হয় গুদাম।

বিএনপি নেতার গুদাম থেকে প্রণোদনার ৩১৫ বস্তা সার জব্দ

অভিযুক্ত মাজহারুল আহসান জাগো নিউজকে বলেন, ৩১ অক্টোবর আমি কক্সবাজার গিয়েছিলাম। ৩ নভেম্বর সরকারি প্রণোদনার ৬৩০ বস্তা সার আসে। এসময় আমার গুদামে সার কম ছিল। যে কারণে কৃষি কর্মকর্তা আমাকে ফোন করে জানান, সার আসছে। পরে আমি তাকে বলি আমাকে এক ট্রাক সার দেন। আমি কক্সবাজার থেকে ফিরে আমার সার এনে আপনাকে দিয়ে দেবো। এমন কথার পর আমার গুদামে ৩১৫ বস্তা সার রাখা হয়। আমার সার আগামীকাল বা তার পরদিন আসবে। সার এলে ফিরত দেবো।

তিনি আরও বলেন, স্থানীয় রাজনৈতিক কয়েকটি গ্রুপ আছে। তারা আমাকে বিভিন্নভাবে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।

এ বিষয়ে জানতে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গোলাম সারোয়ারের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।

ইউএনও নিশাত শারমিন বলেন, সরকারি সার বাইরের গুদামে ছিল। ওই গুদামে কীভাবে সার গেল, তার সদুত্তর দিতে না পারায় গুদাম সিলগালা করা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট বিভাগকেও জানানো হয়েছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিচালক নাছরিন আক্তার বানু বলেন, বিষয়টি শোনার পর আমরা খোঁজখবর নিতে শুরু করেছি। যে গুদামে সার রাখা হয়েছিল, সেটিও বিএডিসির। ওই গুদাম মালিকের এক ট্রাক সার আসার কথা। ধারণা করা হচ্ছে ট্রাকের উল্টাপাল্টা হয়েছে। তারপরও বিষয়টি আমাদের জানাতে গুদাম কর্মকর্তাকে বলা হয়েছে।

মঞ্জুরুল ইসলাম/জেডএইচ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।