মাদরাসাছাত্র হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড, দুজনের যাবজ্জীবন

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি কিশোরগঞ্জ
প্রকাশিত: ০৬:২৮ পিএম, ০৬ নভেম্বর ২০২৪

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ার মাদরাসাছাত্র আবুল হোসেন হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড ও দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (৬ নভেম্বর) বিকেলে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক ফাতেমা জাহান স্বর্ণা এ রায় দেন।

এছাড়াও ঘোষিত রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে দশ হাজার টাকা এবং যাবজ্জীবন সাজা পাওয়া দুই আসামিকে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ফারুক পাকুন্দিয়া উপজেলার বারাবর গ্রামের আলাউদ্দিনের ছেলে। যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামিরা হচ্ছেন- একই এলাকার আব্দুল হাকিমের ছেলে মো. নুরুল ইসলাম ওরফে নুরু মেম্বার এবং সিরাজুদ্দিনের ছেলে মো. রিয়াজ উদ্দিন।

রায় ঘোষণার সময় যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামি নুরুল ইসলাম আদালতে হাজির ছিলেন। তবে মামলা চলাকালে জামিনের পর পলাতক রয়েছেন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ফারুক ও যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত মো. রিয়াজ উদ্দিন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি মাজহারুল হক রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর বিকেলে মোবাইল ফোন চার্জ করে দেয়ার কথা বলে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার বারাবর গ্রামের সৌদি প্রবাসী মো. রেনু মিয়ার মাদরাসাপড়ুয়া ছেলে আবুল হোসেনকে (১৪) নিজের বাড়িতে নিয়ে যায় একই এলাকার আলাউদ্দিনের ছেলে মো. ফারুক। এরপর থেকে আবুল হোসেনের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। নিখোঁজের দুইদিন পর ৫ সেপ্টেম্বর আবুল হোসেনের মা পাকুন্দিয়া থানায় সাধারণ ডায়রি করেন।

পরে ১০ সেপ্টেম্বর বাড়ির পাশের খামা শৈলমারী বিলের পানিতে বাঁশের খুঁটিতে গলা ও হাত-পা বাঁধা অবস্থায় আবুল হোসেনের মরদহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় একই দিন আবুল হোসেনের মা নাছিমা খাতুন বাদী হয়ে পাকুন্দিয়া থানায় হত্যা মামলা করেন।

পুলিশ তদন্ত শেষে ফারুকসহ তিনজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

মামলায় আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন শেখর চন্দ্র সরকার।

এসকে রাসেল/এএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।