ধর্ষণ মামলায় যুবলীগ নেতাকে খালাস, কান্নায় ভেঙে পড়লেন বাদী
নোয়াখালীতে প্রবাসীর স্ত্রীর (৩৩) করা ধর্ষণ মামলায় খালাস পেয়েছেন মজিবুল রহমান শরীফ (৩৬) নামের এক যুবলীগ নেতা। তিনি চাটখিল উপজেলার নোয়াখলা ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক।
রোববার (৩ নভেম্বর) জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুানাল-১ এর বিচারক আবদুর রহিম এ রায় ঘোষণা করেন।
খালাসপ্রাপ্ত মজিবুল রহমান শরীফ চাটখিল উপজেলার নোয়াখলা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ওয়াতির বাড়ির রফিকুল ইসলাম খোকনের ছেলে। ভুক্তভোগী নারী তার প্রতিবেশী ও প্রবাসীর স্ত্রী।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুানাল-১ এর সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মামুনুর রশিদ লাভলু রায়ের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, বাদীর পক্ষে ১৪ জন সাক্ষ্য দেওয়ার পরও বিচারক আসামিকে খালাস দিয়েছেন। বাদী ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। তাকে রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিলের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ওই নারী শরীফের দূর সম্পর্কের চাচার স্ত্রী। ২০২০ সালের ২১ অক্টোবর ভোর ৫টার দিকে ওই গৃহবধূ নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। এসময় শরীফ তার টিনশেড ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করেন এবং উলঙ্গ করে ছবি-ভিডিও ধারণ করে চলে যান। চলে যাওয়ার সময় এ ঘটনা কাউকে জানালে ওই গৃহবধূর সন্তান ও পরিবারের ক্ষতি করার হুমকি দেন।
এ ঘটনায় অভিযোগ দিলে ওইদিন বিকেলে নোয়াখলা ইউনিয়নের ইয়াছিন বাজার থেকে আসামি মজিবুল রহমানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। তার বিরুদ্ধে আরও ১১টি মামলা চলমান।
রায়ের সময় মামলার বাদী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় শুনে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। এসময় ওই নারী বলেন, ‘শরীফ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী। সে দুই শিশু সন্তানকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে আমাকে নির্যাতন করেছে। আমি ন্যায়বিচার পাইনি। শরীফ জেল থেকে বের হলে আমার বড় ধরনের ক্ষতি করবে। সরকারের কাছে পরিবারসহ আমার নিরাপত্তার দাবি জানাচ্ছি।’
ইকবাল হোসেন মজনু/এসআর