৯ বছরের গুনগুনের ঝুলিতে দেশসেরা সব অর্জন

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি যশোর
প্রকাশিত: ০২:৫৭ পিএম, ০২ নভেম্বর ২০২৪

গুনগুন মজুমদারের বয়স ৯ বছর। এই বয়সে অসাধারণ প্রতিভা দিয়ে জয় করে নিয়েছে হাজারো মানুষে হৃদয়। লেখাপড়ার পাশাপাশি গল্প বলা, আবৃত্তি, নৃত্য ও গানের মাধ্যমে একজন বিশিষ্ট শিশু শিল্পী হিসেবে মানুষের মন জয় করেছে সে।

যশোরের অভয়নগর উপজেলার উত্তর অভয়নগর টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ শ্যামল কুমার মজুমদার ও গৃহিণী দীপ্তি কনা চন্দ্রের দুই মেয়ের মধ্যে বড় গুনগুন মজুমদার কম্পিউটার লিটল জুয়েল্স স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী। উপজেলা, জেলা ও বিভাগ ছাড়িয়ে এবার জাতীয় পর্যায়ে ফুলকুড়ি আসরে গল্প বলা প্রতিযোগিতায় দেশসেরা (প্রথম স্থান) হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে গুনগুন। গত ১৯ অক্টোবর ঢাকায় এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

এছাড়া খুলনা বিভাগীয় পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর পদক-২০২৪ এ লোকনৃত্য প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন, ২০২২ সালে যশোর জেলা পর্যায়ে শিশু প্রতিযোগিতায় কত্থক নৃত্যে দ্বিতীয় এবং উপজেলা পর্যায়ে কত্থক নৃত্যে প্রথম, লোক নৃত্যে দ্বিতীয় ও ছাড়া গানে তৃতীয় হয় সে। ২০২৩ সালে শোক দিবস উপলক্ষে উপজেলা পর্যায়ে আবৃত্তি প্রতিযোগিতায় প্রথম, শিশু প্রতিযোগিতায় কত্থক নৃত্যে দ্বিতীয় ও লোক নৃত্যে তৃতীয় হয়।

শ্যামল কুমার মজুমদার বলেন, আমার মেয়ে গুনগুন স্কুলে ভর্তি হওয়ার পর সর্বপ্রথম ২০২০ সালে বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ উপলক্ষে যশোর জেলা পর্যায়ে আবৃত্তি প্রতিযোগিতায় তৃতীয় হয়। একই সালে উপজেলা পর্যায়ে স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে নৃত্য, আবৃত্তি, গল্প বলা ও গান এ চার প্রতিযোগিতায় প্রথম হয় সে। এরপর জেলা, উপজেলা ও বিভাগ ছাড়িয়ে সম্প্রতি জাতীয় পর্যায়ে ফুলকুড়ি আসরে গল্প বলা প্রতিযোগিতায় দেশসেরা (প্রথমস্থান) হওয়ার গৌরব অর্জন করে।

গুনগুনের মা দীপ্তি কনা চন্দ্র বলেন, গুনগুনের আবৃত্তি, গান ও নাচের পৃথক শিক্ষক রয়েছে। সময় পেলে সে তার দেড় বছর বয়সি ছোট বোন অরণি মজুমদারের সঙ্গে খেলাধুলা করে। দুই বোনের মধ্যে রয়েছে এক মধুর সম্পর্ক।

শিশু গুনগুন মজুমদার বলেন, আমার মা আমার অনুপ্রেরণা। আর গল্প বলার ক্ষেত্রে বাবা ও মা দুজনেই শিক্ষকের ভূমিকা পালন করেন। ভবিষ্যতে একজন ভালো ডাক্তার হয়ে অসহায় মানুষের সেবা করার পাশাপাশি দেশসেরা নৃত্যশিল্পী হওয়ারও স্বপ্ন রয়েছে। অবসর পেলে ছবি এঁকে সময় কাটে আমার।

কম্পিউটার লিটল জুয়েল্স স্কুলের প্রিন্সিপাল মাহফুজা বেগম বলেন, শিশু শ্রেণি থেকেই গুনগুন একজন মেধাবী শিক্ষার্থী। এখন সে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী। রোল নম্বর-৩। ওর এই প্রতিভার কারণে স্কুলের সুনাম দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। তিনি গুনগুনের উজ্জ্বল অভিষ্যতের জন্য দোয়া প্রার্থনা করেছেন।

মিলন রহমান/এফএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।