সেন্টমার্টিন ২০ শয্যা হাসপাতালে একমাস ধরে চিকিৎসা বন্ধ

উপজেলা প্রতিনিধি উপজেলা প্রতিনিধি টেকনাফ (কক্সবাজার)
প্রকাশিত: ১১:৫৭ এএম, ০২ নভেম্বর ২০২৪

প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনে ২০ শয্যা বিশিষ্ট সরকারি হাসপাতালে এক মাস ধরে ডাক্তার ও নার্স কারো দেখা মিলছে না। ফলে দ্বীপের বাসিন্দারা চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, এই দ্বীপে সাড়ে ১০ হাজার মানুষের বসবাস। দ্বীপের মানুষের একমাত্র চিকিৎসাসেবা দানকারী ২০ শয্যা সরকারি এই হাসপাতালে ডাক্তার ও নার্স না থাকায় গত এক মাস ধরে চিকিৎসাসেবা বন্ধ রয়েছে। হাসপাতাল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার জন্য একজন কর্মচারী দেখা যায়। দ্বীপের বাসিন্দারা আগে হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা পেতো। কিন্তু এখন পুরোপুরি চিকিৎসাসেবা বন্ধ রয়েছে ওই হাসপাতালে।

তিনি আরও বলেন, সরকারিভাবে এমবিবিএস ডাক্তার ও নার্স থাকার কথা থাকলেও গত কয়েক বছর একটি এনজিও সংস্থার মেডিকেল টিমের মাধ্যমে এই হাসাপাতালে চিকিৎসা সেবা ঢিলেঢালাভাবে চলছিল। এখন ওই এনজিওর প্রজেক্টের মেয়াদ শেষ হওয়াতে তারাও চিকিৎসাসেবা বন্ধ করে চলে গেছে। দ্বীপবাসীর জন্য নিয়মিত চিকিৎসা সেবায় সরকারি ডাক্তার ও নার্স খুবই প্রয়োজন।

এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রণয় রুদ্র বলেন, সেন্টমার্টিনে ২০ শয্যা হাসপাতালে এনজিও সংস্থা দ্বারা পরিচালিত যে মেডিকেল টিম ছিল, তাদের প্রজেক্টের মেয়াদ শেষ হওয়ার কারণে গত মাসের এক তারিখ থেকে ওই মেডিকেল টিমের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। সেন্টমার্টিন ২০ শয্যার হাসপাতালে সরকারিভাবে মেডিকেল অফিসারসহ ১৫ জনের পদ রয়েছে। তার মধ্যে বর্তমানে ওই হাসপাতালে একজন ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারি রয়েছে।

বিগত সময় সরকারিভাবে ডাক্তারের পোস্টিং হলেও তারা যেগদানের পর আবার চলে যান। বর্তমানে ওষুধপত্র ও চিকিৎসাসেবা দিতে টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে আবহাওয়ার পরিবেশ পরিস্থিতি বুঝে দ্বীপে ডাক্তার পাঠানো হয়। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানানো হয়েছে।

জাহাঙ্গীর আলম/এফএ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।