ছয় বছরেও শেষ হয়নি আড়াই বছরের সেতু নির্মাণ

লিপসন আহমেদ লিপসন আহমেদ , সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১২:২৯ পিএম, ৩১ অক্টোবর ২০২৪

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার সীমান্ত এলাকায় মানুষের যাতায়াতের সুবিধা, পর্যটন ও ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারের লক্ষ্যে যাদুকাটা নদীর ওপর একটি সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে। কাজের মেয়াদ ছিল আড়াই বছর। কিন্তু কাজ চলছে ঢিমেতালে। সময় বাড়ানো হয়েছে চারবার। তবুও কাজ শেষ হয়নি ছয় বছরে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভারতের মেঘালয় পাহাড় আর অপরূপ সৌন্দর্যের যাদুকাটা নদী ঘিরে জমে উঠেছে সুনামগঞ্জের পর্যটন শিল্প। সেই শিল্পকে আরও চাঙ্গা করতে সুনামগঞ্জ-ঢাকা-নেত্রকোনার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের লক্ষ্যে ২০১৮ সালে শুরু হয় তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের গড়কাটি ও বিন্নাকুলী গ্রামের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত যাদুকাটা নদীর ওপর শাহ আরেফিন (র.) ও অদ্বৈত মহাপ্রভু মৈত্রী সেতুর নির্মাণকাজ। এই সেতুটি নির্মাণ হলে পর্যটনখাতের নতুন দুয়ার উন্মোচিত হবে ভাটির এই জেলায়। কিন্তু শেষ হয়েও যেন কিছুতেই শেষ হচ্ছে না সেতুটি নির্মাণকাজ।

ছয় বছরেও শেষ হয়নি আড়াই বছরের সেতু নির্মাণ

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) ‘পল্লী সড়কে গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণ’ প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৮৬ কোটি টাকা ব্যয়ে এই সেতুটি নির্মাণ হচ্ছে। তমা কনস্ট্রাকশন নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এই কাজটি করছে। ২০১৮ সালের ৪ ডিসেম্বর সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয়। ৭৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের এই সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হলে এটি হবে জেলার সবেচেয় দীর্ঘতম সেতু।

তবে এ পর্যন্ত সেতুতে ৭৫টি গার্ডারের মধ্যে মাত্র ৩টি এবং ১৫টি স্লাবের মধ্যে ১০টির নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। মাখঝানে ১৮টি গার্ডার ও ৫টি স্লাবের কাজ এখনো বাকি। গত জুন মাসের বন্যার সময় বালুভর্তি বাল্কহেডের ধাক্কায় আরও দুটি গার্ডার ভেঙে পড়েছে।

ছয় বছরেও শেষ হয়নি আড়াই বছরের সেতু নির্মাণ

সেতুটির নির্মাণকাজে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অবহেলা ও ঢিলেমি রয়েছে বলে মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সেতুটি চালু হলে একদিকে যেমন এখানকার পর্যটন শিল্প জমে উঠবে অন্যদিকে ব্যবসা বাণিজ্যেরও প্রসার ঘটবে।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তমা কনস্ট্রাকশনের প্রকল্প ম্যানেজার মোহাম্মদ নাসির বলেন, বার বার বন্যা আর প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারণে বিলম্ব হচ্ছে নির্মাণকাজে। তবে আগামী বছর জুনের মধ্যেই শেষ হবে কাজ।

সুনামগঞ্জ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আনোয়ার হোসেন জানান, প্রাকৃতিক দূর্যোগ ও ঠিকাদারদের অবহেলার কারণেই বিলম্ব হচ্ছে নির্মাণ কাজ। দ্রুত কাজ শেষ করতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে তাগিদ দিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

এফএ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।