কাঁচামরিচের কেজি ১০০, পেঁয়াজ ১৪০

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি পাবনা
প্রকাশিত: ১২:২৭ পিএম, ৩১ অক্টোবর ২০২৪

সরবরাহ বাড়ায় পাবনায় এক সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচামরিচের দাম আড়াইগুণ কমে প্রতি কেজি দাঁড়িয়েছে ১০০ টাকার মধ্যে। তবে উৎপাদনকারী জেলায় পেঁয়াজের অতিরিক্ত দামে ক্রেতাদের অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সকালে পাবনা শহরের বড় বাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া যায়।

বিক্রেতারা জানান, মাঝে কিছু সময় কাঁচামরিচ ও সবজির বাজার ব্যাপক অস্থিতিশীল ছিলো। কেনাবেচায় ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে অতিরিক্ত কথা বলতে হতো। তবে এখন কাচা বাজারে খানেকটা স্বস্তি নেমেছে। চাষিদের মরিচ বাজারে আসছে। পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় স্থানীয় চাহিদা মিটছে। ফলে ৩৫০ টাকার কাঁচামরিচ এখন ১০০ টাকায় নেমেছে। তবে বছরের শেষের দিকে কৃষকের ঘরে পেঁয়াজ না থাকায় পেঁয়াজের বাজার একটু বেশি। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ১৩৫-১৪০। আমদানি পেঁয়াজ ১০০-১১০ টাকা। গত কয়েকদিন ১৫০-১৬০ টাকায়ও বিক্রি হয়েছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শীতকালীন সবজি ফুলকপি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকায়, শিম ১২০-১৩০, বেগুন ৫০-৬০ ও বরবটি ৬০-৭০ টাকা। এছাড়া পটল ৩৫-৪৫, ঝিঙে ৩৫-৪০, পেঁপে ২৮-৩০, মিষ্টিকুমড়া ৩৫-৪০, লাউ ৩৫-৪০, মুখি কচু ৭৫ ও আলু ১২০ -১৩০ টাকা প্রতি কেজি হিসেবে বিক্রি হচ্ছে।

বড় বাজারে বাজার করতে এসেছেন আলিফ রহমান। পেশায় বেসরকারি চাকরিজীবী। স্কুল পড়ুয়া দুই মেয়ে ও স্ত্রী নিয়ে সংসার তার। আলাপকালে তিনি বলেন, বাজারে কি অবস্থা সেটা সবাই জানে। কিন্তু অনেকেই জানেন না দীর্ঘদিন একই বেতনে চাকরি করা আ বেসরকারি চাকরিজীবীদের সংসার চালানোর কথা। কাঁচামরিচ সাাড়ে তিনশো টাকায় উঠেছিলো। সব খরচ মিটিয়ে ওই দামে কাঁচামরিচ খাওয়া বিলাসিতা ছিলো। এজন্য কাঁচামরিচ খাওয়াই বন্ধ করেছিলাম। কাচা বাজার করলেও কাঁচামরিচের দাম শোনাই বন্ধ করেছিলাম। কিন্তু পরে দেখলাম দাম ব্যাপক কমেছে। এখন আবার কিনছি।

কাঁচামরিচের কেজি ১০০, পেঁয়াজ ১৪০

বাজার করতে আসা শ্রাবণী ইসলাম বলেন, মরিচের দাম বেশ কমেছে। সবজির দামও কিছুটা কমেছে, যদিও এটিও বেশি। কিন্তু এখন আবার শুরু হয়েছে পেঁয়াজে। মোট পেঁয়াজের সবচেয়ে বড় অংশ হয় পাবনায়। অথচ আমাদের ১৫০-১৬০ টাকায় পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে। ডিম-মরিচ নিয়ে খেলা শেষ হলো, এখন নেমেছে পেঁয়াজের মাঠে। দেশের বাজারে ব্যবসায়ীদের খেলা শেষ হয় না।

আরেক ক্রেতা আলম খন্দকার বলেন, আলু, মিষ্টিকুমড়া ও ঝিঙে এক কেজি করে এবং দুটি পেপে নিয়েছি। বাসা থেকে বলে দিয়েছে এক কেজি পেঁয়াজ আনতে। কিন্তু মাসের শেষ, হাতে টাকা কম। তাই আধা কেজি পেঁয়াজ নিচ্ছি। এভাবেই কোনোরকম টেনেটুনে চলতে হচ্ছে।

এব্যাপারে বিক্রেতা বাবু বলেন, স্থানীয় চাষিদের মরিচ আপাতত বাজার সামলাচ্ছে। আমদানি মরিচ এক সপ্তাহেরও বেশি সময় আগে থেকেই বাজারে আসছে না। চাষিদের মরিচের ওপর দাম নির্ভর করে। যেমন গতকাল বেশি মরিচ আসায় ৮০ টাকা ছিলো, আজ একটু কম জন্য ১০০/১১০ টাকায় বিক্রি করছি। আমরা যেমন কিনি তেমন বেচি। কম দামে পেলে আমাদের জন্যও ভালো।

আরেক ব্যবসায়ী আলতাফ হোসেন জানান, কৃষকের ঘরে এখন পেঁয়াজ নেই, তাই পেঁয়াজের দাম একটু বেশি। মাস দেড়েকের মধ্যে আগাম মুড়িকাটা পেঁয়াজ বাজারে আসা শুরু হবে, তখন দাম কমবে। এছাড়া কাচাবাজারে এখন তেমন অস্থিরতা নেই।

এএইচ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।