পদ্মায় জেলেদের হামলা, নিখোঁজ আরেক এএসআইয়ের মরদেহ উদ্ধার
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে পদ্মা নদীতে দুর্বৃত্তদের হামলায় নিখোঁজের ৫১ ঘণ্টা পর পুলিশের আরও এক সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মুকুল হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) সকাল ৮টার দিকে পাবনা নাজিরগঞ্জ ঘাট সংলগ্ন কবরস্থানের পাশের পদ্মা নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) পলাশ কান্তি নাথ।
এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে নিখোঁজের ৩৬ ঘণ্টা পর সদরুল আলম নামে পুলিশের আরেক সহকারী উপ-পরিদর্শকের মরদেহ উদ্ধার করেন ডুবুরি ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
জানা যায়, রোববার গভীর রাতে চরসাদিপুর এলাকার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিদের গ্রেফতারের উদ্দেশ্য নদীপথে যাওয়ার সময় অবৈধভাবে ইলিশ শিকারিরা পুলিশের নৌকায় হামলা করে। হামলায় এসআই নজরুল ইসলাম মারাত্মকভাবে আহত হন। তাদের সঙ্গে থাকা দুজন ইউপি সদস্যসহ বাকি পুলিশ সদস্য সাঁতরে পাড়ে উঠলেও এএসআই সদরুল আলম ও মুকুল হোসেনকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
কুমারখালী ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সোমবার সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অভিযান চালিয়েও তাদের উদ্ধার করতে ব্যর্থ হন। পরে খুলনার ডুবুরি দল ও কুমারখালী ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে সদরুল আলমের মরদেহ উদ্ধার করে।
পরবর্তীতে ৫১ ঘণ্টা পর বুধবার সকাল ৮টার দিকে পদ্মা নদীর নাজিরগঞ্জ অংশে মুকুল হোসেনের মরদেহ ভেসে উঠলে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন উদ্ধার করে কুমারখালী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
আল-মামুন সাগর/জেডএইচ/এএসএম