বিমানে বারবার খাবার চাওয়ায় যাত্রীকে পুলিশে দিলো কর্তৃপক্ষ!
যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার থেকে সিলেটে আসা বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে কেবিন ক্রুদের সঙ্গে উচ্ছৃঙ্খল আচরণের অভিযোগে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এক ব্রিটিশ নাগরিককে আটক করা হয়েছে। পরে তাকে থানায় দেয় সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) দুপুর ১টা ২০ মিনিটে তাকে আটক করে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের এয়ারপোর্ট থানায় হস্তান্তর করে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
তবে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আটক ওই যাত্রী বলেছেন, ফ্লাইটে একাধিকবার খাবার চাওয়ায় কেবিন ক্রুরা উত্তেজিত হয়ে তার সঙ্গে অসদাচরণ করায় তিনি প্রতিবাদ করেছেন। পরে বিষয়টি স্বাভাবিক ও গুরুতর মনে না হওয়ায় তাকে স্বজনদের জিম্মায় ছেড়ে দেয় পুলিশ। তবে ঘটনাটি অধিকতর তদন্তের জন্য সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হিসেবে রেকর্ড করেছে পুলিশ।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আনিসুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অভিযুক্ত যাত্রীর নাম ফয়েজ আহমদ। তিনি সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার ইসলামপুরের বাসিন্দা।
ওসমানী বিমানবন্দর সূত্র জানায়, যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার থেকে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি ২০৮ নম্বর ফ্লাইটের যাত্রী ছিলেন ফয়েজ আহমদ। যাত্রাকালে তিনি বিমানের কেবিন ক্রুদের সঙ্গে অসদাচরণ করেন। বিষয়টি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন ফ্লাইটের পাইলট। পরে দুপুর ১টা ৫ মিনিটে ফ্লাইটটি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের পর ওই যাত্রীকে আটক করে থানায় হস্তান্তর করা হয়।
বিমানবন্দরের পরিচালক মো. হাফিজ আহমদ জাগো নিউজকে বলেন, ওই যাত্রী বিমানের কেবিন ক্রুদের সঙ্গে উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করেন। এ ঘটনায় ফ্লাইটের পাইলট লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে থানায় হস্তান্তর করা হয়।
এ বিষয়ে এয়ারপোর্ট থানার ওসি সৈয়দ আনিসুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে ওই যাত্রী জানিয়েছেন তিনি ডায়াবেটিস রোগী। বারবার ক্ষুধা লাগায় তিনি সহ্য করতে না পেরে চারবার কেবিন ক্রুদের কাছে খাবার চেয়েছিলেন। কিন্তু কেবিন ক্রুরা খাবার না দিয়ে উল্টো তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। একপর্যায়ে একজন কেবিন ক্রু বলেন, আমার খাবার আপনাকে দেবো নাকি? এটা বলার পর তিনি চিৎকার করেছেন। এসময় কেবিন ক্রুদের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটেছে। কেবিন ক্রুরাও তাকে ধাক্কা দিয়েছেন। পরে বিষয়টি স্বাভাবিক হয়েছে। কিন্তু বিমান কর্তৃপক্ষ বিষয়টি বড় করতে চাচ্ছে।
ওসি আরও বলেন, বিষয়টি খুব বড় মনে না হওয়ায় আপাতত ওই যাত্রীকে তার স্বজনদের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে ঘটনাটি তদন্তের জন্য বিমান কর্তৃপক্ষের অভিযোগ জিডি হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে।
আহমেদ জামিল/এসআর/জেআইএম