লক্ষ্মীপুরে ইটভাটা বন্ধের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
লক্ষ্মীপুর সদরের পিআরবি ব্রিকস বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা। সোমবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে সদর উপজেলার বশিকপুর ইসলামিয়া মহিলা মাদরাসার সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় বশিকপুর মহিলা মাদরাসার সুপার মোরশেদ আলম, আবদুল মজিদ মাস্টার, নবম শ্রেণির ছাত্রী জান্নাত সুলতানা, সারিকা সুলতানা, সুমাইয়া ইসলাম, এলাকাবাসী আনোয়ার হোসেন, জামাল উদ্দিন ও মো. ইউনুস প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে বাহার পাটোয়ারী জনবসতি এলাকায় ভাটা বসিয়ে পরিবেশ দূষণ করছেন। আশপাশে প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদরাসা ও বসতঘরসহ জনবসতিপূর্ণ এলাকা হওয়ায় মানুষ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। ভাটার ট্রলির কারণে অভ্যন্তরীণ সড়কগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ভাটার কালো ধোঁয়ার কারণে গাছপালা বিবর্ণ হয়ে পড়ছে। গাছে ফলমূল ধরা প্রায় বন্ধ হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় ইটভাটা বন্ধ না হলেও স্থানীয় জনগণকে অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক ভাটা এলাকার একাধিক মানুষ জানায়, ভাটা মালিক বাহার আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে ভাটা পরিচালনা করে এসেছেন তিনি। সন্ত্রাসী বাহিনী প্রধান আবুল কাশেম জিহাদীকে প্রতি মাসে মাসোয়ারা দিতেন বাহার। এখন আবার জনবসতিপূর্ণ এলাকায় ভাটা পরিচালনা করতে আওয়ামী লীগের খোলস পাল্টে বিএনপির নেতাদের সঙ্গে জড়ানোর চেষ্টা করছেন তিনি।
নবম শ্রেণির ছাত্রী সুমাইয়া ইসলাম বলেন, ইটভাটার ধোয়ার কারণে আমাদের শ্বাসকষ্টে ভুগতে হচ্ছে। এছাড়া চর্মরোগেও আক্রান্ত হতে হচ্ছে। এ ইটভাটা আমাদের পরিবেশের ক্ষতি করছে। সরকারের কাছে আবেদন, যেন দ্রুত এ ভাটা বন্ধ করে দেয়।
বশিকপুর মহিলা মাদরাসার সুপার মোরশেদ আলম বলেন, প্রায় দুই যুগ ধরে জনবসতিপূর্ণ এলাকায় বাহার পটোয়ারীর ইটভাটা কার্যক্রম চলছে। ইটভাটার ধোঁয়া পরিবেশ দূষণ হচ্ছে। এলাকা নারিকেল-সুপারিসহ বিভিন্ন গাছে ফল ধরা কমে গেছে। ইটভাটার ধোঁয়ার কারণে আশপাশের বাসিন্দা ও শিক্ষার্থীরা নানান রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
ভাটা মালিক বাহার পাটোয়ারী বলেন, সরকারি নির্দেশনা মেনে ভাটা পরিচালনা করছি। একটি ব্যবসা করতে গেলে কারো কারো ক্ষতি হতে পারে। তবে বিষয়টি তিনি আরও সতর্কতার সঙ্গে দেখবো।
এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক হারুন অর রশিদ পাঠান বলেন, পিআরবি ব্রিকস সম্পর্কে আমার বিস্তারিত কিছু জানা নেই। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কাজল কায়েস/আরএইচ/এএসএম