মধুখালীর ৮০ কিলোমিটার রাস্তা চলাচলে অনুপযোগী, দুর্ভোগে এলাকাবাসী
ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার প্রায় ৮০ কিলোমিটার রাস্তার কার্পেটিং উঠে গেছে। এতে যান চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে সড়কটি। সময় মতো সংস্কার না করায় টানা বৃষ্টিতে রাস্তার এমন দুরবস্থা। ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন এলাকাবাসী।
কার্পেটিং উঠে যাওয়ায় পথচারী, ভ্যান, রিকশা প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। আর কাঁচা রাস্তায় টানা বৃষ্টিতে কাঁদা হওয়ায় চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
মধুখালী উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় কাঁচা-পাকাসহ মোট ৮২৪ কিলোমিটার রাস্তা রয়েছে। এরমধ্যে বিটুমিনাস কার্পেটিং ২০০ কিলোমিটার, এইচ বিবি (ইটের রাস্তা) ৫০ দশমিক ৫৯ কিলোমিটার এবং বাকি ৫৭৩ দশমিক ৪১ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা।
সরেজমিনে দেখা যায়, বৃষ্টির কারণে ডুমাইন মধুমোড় থেকে ডুমাইন আলমের বাড়ির পাকা সড়ক, ডুমাইন মোড় থেকে সমাধীনগর কার্পেটিং রাস্তা, কামালদিয়া ইউনিয়নের নিখরিয়া বাজার থেকে মীরের কাপাষহাটিয়া কার্পেটিং রাস্তা এবং বাগাট নওপাড়া মাঝিবাড়ি থেকে রায়জাদাপুর বাজার কার্পেটিং রাস্তাসহ প্রায় ৮০ কিলোমিটার রাস্তা খানাখন্দে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
মাঝিবাড়ি এলাকার বাসিন্দা শরীফ হোসেন বলেন, রাস্তাগুলো দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
ডুমাইন আলম শেখ বলেন, রাস্তার কার্পেটিং উঠে গেছে। চলাচলে খুবই কষ্ট হয়। দ্রুত সংস্কারের দাবি জানাই।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী (স্থানীয় সরকার বিভাগ) মো. সোহেলা রানা বলেন, উপজেলায় কাঁচা-পাকাসহ সব মিলিয়ে প্রায় সাড়ে ৮০০ কিলোমিটার রাস্তা রয়েছে। অনেক রাস্তা ১২-১৪ বছরের পুরোনো। দীর্ঘদিন ধরে এ রাস্তাগুলো সংস্কার ও মেরামতের কোনো অর্থ বরাদ্দ না থাকায় বেহাল অবস্থা হয়েছে। আবার চলতি মাসে টানা বৃষ্টির ফলে অনেক রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ।
তিনি আরও বলেন, এরই মধ্যে মধুখালী উপজেলার কাঁচা-পাকা রাস্তার সংস্কারের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে তালিকা পাঠানো হয়েছে। কোনো রাস্তা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত না হলে পুনরায় সংস্কারের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হবে। বরাদ্দ হলে এগুলোর সংস্কার ও মেরামত হবে।
এন কে বি নয়ন/জেডএইচ/জেআইএম