ঘূর্ণিঝড় দানা

কক্সবাজারে উত্তাল সাগরে গোসলে মত্ত পর্যটকরা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি কক্সবাজার
প্রকাশিত: ১০:৫৫ এএম, ২৪ অক্টোবর ২০২৪

ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাবে সমুদ্রবন্দর গুলোতে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত চলছে। পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) রাতে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়ার পর বুধবার ভোর থেকে রাত অবধি মেঘাচ্ছন্ন ছিল কক্সবাজারের আকাশ। উপকূলে চলেছে হালকা বৃষ্টিপাতও। কিন্তু বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সকাল থেকে মেঘ-রোদ্দুরের খেলা চলছে আকাশে। তবে চলমান সংকেতের প্রভাবে সাগর উত্তাল রয়েছে। বেলাভূমি ও তীরে আছড়ে পড়ছে বড় ঢেউ।

বেলাভূমিতে দায়িত্বরত সী সেইফ লাইফ গার্ডের সিনিয়র কর্মকর্তা মো. ওসমান গণি বলেন, বন্দরসমূহে সতর্কতা সংকেত বাড়ার পর সন্ধ্যা থেকে সাগরের ঢেউয়ে উত্তালতা শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালেও একই প্রভাব রয়েছে। তবে আকাশে মেঘাচ্ছন্নতার পরিবর্তে মেঘ-রোদ্দুর খেলা চলছে। পর্যটকরা গতকালের মতো ঢেউয়ের পর ঢেউ মাড়িয়ে গোসলে মত্ত আছেন।

কক্সবাজারে উত্তাল সাগরে গোসলে মত্ত পর্যটকরা

তিনি আরও বলেন, বৈরী আবহাওয়ায় উত্তাল সাগরে যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে জলে নামাদের সতর্ক থাকতে মাইকিং করা হচ্ছে। ট্যুরিস্ট পুলিশ, জেলা প্রশাসন ও লাইফ গার্ডরা যৌথভাবে এ মাইকিং করছে। অনেকে মাইকিং গায়ে না মাখায় বিপদ এড়াতে সতর্ক দৃষ্টি রাখছেন লাইফ গার্ড কর্মীরা।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. আতাউল গনি ওসমানী বলেন, বুধবার ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে ভোর থেকে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ছিল এবং সন্ধ্যা থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছিল। এখন বৃষ্টি নেই, আকাশে এই মেঘ, এই রোদ খেলা করছে। এরপরও প্রকৃতির প্রতি দৃষ্টি রাখা হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাব্য দুর্গতি এড়াতে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

কক্সবাজারে উত্তাল সাগরে গোসলে মত্ত পর্যটকরা

এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ৯ নম্বর বিশেষ বুলেটিনের তথ্য অনুযায়ী, কক্সবাজারসহ চার সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়টি বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ৫৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে ৫৫৫ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৪৮৫ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৪৭৫ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছিল। এটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে।

আবহাওয়াবিদদের মতে, ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হলো উপরিভাগের বাতাসের গতিবেগ। ঘূর্ণিঝড়ের দিক মূলত নিয়ন্ত্রণ করে সেই বাতাস। প্রায় ১০০ কিলোমিটার ব্যাসের এই ঝড়টির প্রভাবে দেশের উপকূলীয় এলাকায় বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার এই দুই দিন বৃষ্টি হতে পারে। হতে পারে দমকা হাওয়া ও ঝড়োবৃষ্টি।

সায়ীদ আলমগীর/এফএ/এএসএম

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।