নির্বাচনের তিন বছর পর ৩ ভোটে জয়ী ইউপি সদস্য
জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে ইউপি সদস্য পদে পাঁচবার ভোট গণনার পরও ১ ভোটে পরাজিত হয়েছিলেন আব্দুস সবুর (পিন্টু)। কিন্তু সেসময় ফলাফলে সন্তুষ্ট হতে না পেরে জয়পুরহাট নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা করেছিলেন তিনি। দীর্ঘ ৩ বছর পর ট্রাইব্যুনালের বিচারক ইফতেখার শাহরিয়ার আব্দুস সবুরকে ৩ ভোটে জয়ী ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন।
১৫ অক্টোবর এ রায় ঘোষণা করা হয়। তবে মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) ঘটনাটি জানাজানি হয়।
২০২১ সালের ১১ নভেম্বর জয়পুরহাটের আক্কেলপুরের তিলকপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য পদে আব্দুস সবুর (তালা) ও মারুফ হাসান (ফুটবল) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ভোটগ্রহণ শেষে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মারুফ হাসানকে জয়ী ঘোষণা দেন। এ নিয়ে প্রতিপক্ষ আব্দুস সবুর আপত্তি তোলেন।
ভোট গণনার পর মাত্র ১ ভোটে ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী মারুফ হাসানকে জয়ী ঘোষণা করা হয়। তখন এক ভোটে পরাজিত প্রার্থী আব্দুস সবুর ভোটকেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে তাকে পরাজিত করার অভিযোগ তুলেছিলেন।
ওই বছরের ১৫ ডিসেম্বর আব্দুস সবুর নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা করেন। আদালত ১৫ অক্টোবর তাকে জয়ী ঘোষণা করেন। আদালতের পুনর্গণনায় তালা প্রতীকের আব্দুস সবুর ১ হাজার ১১৪ ভোট এবং ফুটবল প্রতীকের মারুফ হাসান ১ হাজার ১১১ ভোট পেয়েছেন বলে ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
আদালতের রায়ে নবনির্বাচিত আব্দুস সবুর বুধবার সকালে জাগো নিউজকে বলেন, আমি ২০২১ সালে নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলাম। কিন্তু ৫ বার গণনার পরও আমাকে ১ ভোটে পরাজিত দেখানো হয়েছিল। আমি দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাই। সেইসঙ্গে দ্রুত সময়ের মধ্যে আদালতের রায়কে আমলে নিয়ে নতুন গেজেটে ইউপি সদস্য হিসেবে আমার নাম ঘোষণার দাবি জানাচ্ছি।
বর্তমান ইউপি সদস্য মারুফ হাসান সাংবাদিকদের বলেন, আমি আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবো। ২০২১ সালের নির্বাচনে ভোট গণনার সময় ভোট সংশ্লিষ্ট সব কর্মকর্তা উপস্থিত থেকে ভোট গণনা করে আমাকে ১ ভোটে জয়ী ঘোষণা করেছিলেন। আমি প্রায় তিন বছর ধরে ইউপি সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ফজলুল করিম জাগো নিউজকে বলেন, ২০২১ সালে তিলকপুর ইউপির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তখন ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পরাজিত সদস্য প্রার্থী আব্দুস সবুর আদালতে একটি মামলা করেন। আদালতে ভোট পুনর্গণনায় দেখা যায় পরাজিত আব্দুস সবুর ৩ ভোট বেশি পেয়েছেন।
তিনি বলেন, আদালতের রায়ের বিষয়ে একটি প্রতিবেদন নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হয়েছে। এখন কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে। যদি কোনো আইনি ঝামেলা না থাকে, তাহলে আদালতের রায়ে জয়ী প্রার্থী শপথ নিয়ে দায়িত্ব পালন করবেন।
আল মামুন/এফএ/জেআইএম