মামুনুল হক কাণ্ডে হেফাজত কর্মীর মৃত্যু, সাবেক এমপির নামে মামলা
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে মামুনুল হক কাণ্ডে হেফাজত কর্মী মাওলানা ইকবাল হোসেন (৬০) নিহতের ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় ১২৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
সোমবার (২১ অক্টোবর) রাতে মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেন সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল বারী। এর আগে রোববার (২০ অক্টোবর) রাতে হেফাজতে ইসলাম সোনারগাঁ শাখার সদস্য মাওলানা শাজাহান শিবলী বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় মামলা দায়ের করেন।
নিহত মাওলানা ইকবাল হোসেন নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের সাহাপাড়া এলাকার মৃত আবু সাইদের ছেলে।
মামলায় নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত, নারায়ণগঞ্জ জেলার সাবেক পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম, সোনারগাঁ উপজেলার সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম, সোনারগাঁ থানার সাবেক ওসি মো. হাফিজুর রহমানসহ ১২৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলায় শাহজাহান শিবলী উল্লেখ করেন, কেন্দ্রীয় হেফাজতে ইসলামের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মামুনুল হক তার স্ত্রীসহ গত ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল রাতে সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্ট হোটেলে অবকাশ যাপনের জন্য আসেন। ওই সময় দুই সাবেক এমপির ষড়যন্ত্রে পুলিশ প্রশাসনের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে এজহার নামীয় আসারিরাসহ একশ-দেড়শ আসাশি মামুনুল হককে স্ত্রীসহ হেনস্তা করে রিসোর্ট থেকে বের করে দেন। পরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে সোনারগাঁয়ের হেফাজত কর্মী মাওলানা ইকবাল হোসেন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় মামুনুল হককে স্ত্রীসহ হেনস্তার জোরালো প্রতিবাদ করেন।
এ সময় আজহার নামীয় আসামিরা তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে কিল, ঘুষিসহ লোহার রড দিয়ে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করেন। আহত অবস্থায় তাকে পুলিশ গ্রেফতার করে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে আদালতে পাঠায়। ওই সময় পুলিশ তাকে রিমান্ডের নামে নির্যাতন করে। নির্যাতনে ইকবাল অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ভর্তি করে। অসুস্থ অবস্থায় তিনি ২০২১ সালের ২১ এপ্রিল চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১২টায় মারা যান।
তিনি এজাহারে আরও উল্লেখ করেন, ওই সময় বিরূপ পরিস্থিতির কারণে মাওলানা ইকবাল হোসেনের পরিবার মামলা করতে সাহস পায়নি। বর্তমানে পরিস্থিতি অনুকূলে থাকায় তার পরিবারের পক্ষে মামলা দায়ের করেন।
রাশেদুল ইসলাম রাজু/এফএ/জেআইএম