ইন্সপেক্টর তুহিনের স্ত্রীর নামে গোপালগঞ্জের বাড়িতে রিসিভার নিয়োগ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি গোপালগঞ্জ
প্রকাশিত: ০৭:১৭ পিএম, ২১ অক্টোবর ২০২৪
ছয় কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় ৬ তলা বাড়িটি। ইনসেটে তুহিন লস্কর-জামিলা পারভীন দম্পতি

ফরিদপুরের ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর তুহিন লস্কর ও তার স্ত্রী জামিলা পারভীন কুমকুমের নামে থাকা গোপালগঞ্জ শহরের চাঁদমারি এলাকায় ছয়তলা ভবনের দেখভালের জন্য জেলা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালককে রিসিভার নিয়োগ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (১৬ অক্টোবর) এ দম্পতির নামে অর্জিত জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ ক্রোকের আবেদন করেন দুদকের ফরিদপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক ইমরান আকন। ওইদিনই তা মঞ্জুর করেন ফরিদপুরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. জিয়া হায়দার। গোপালগঞ্জ শহরে অবস্থিত ছয় কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ছয়তল বাড়িটির রিসিভার হিসেবে মশিউর রহমানকে নিয়োগ দেন আদালত।

সোমবার (২১ অক্টোবর) বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন জেলা দুদকের উপপরিচালক মশিউর রহমান।

তিনি জানান, আদেশপ্রাপ্ত হয়ে বাড়ির দখল বুঝে নেওয়ার কাজ শুরু করা হয়েছে। সরেজমিন পরিদর্শন করে সাতজন ভাড়াটিয়া থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। খুব শিগগির ইনভেনটরি (সম্পদের তালিকা) করে আদালতকে অবহিত করা হবে।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, তুহিন লস্করের নামে ঢাকার মিরপুর বিজয় রাকিন সিটি প্রজেক্টে অবস্থিত এক কোটি ২৮ লাখ টাকার একটি আধুনিক ফ্ল্যাট এবং স্ত্রী কুমকুমের নামে গোপালগঞ্জ জেলা সদরের চাঁদমারি এলাকার খাটরা মৌজায় ছয় কোটি টাকা মূল্যের ছয়তলা একটি আধুনিক বাড়ি রয়েছে, যা আয়কর বহির্ভূত সম্পদ।

এর আগে গত ৭ আগস্ট এ দম্পতির প্রায় চার কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ ক্রোক করা হয়। এ নিয়ে এ দম্পতির প্রায় সাড়ে ১১ কোটি টাকার সম্পদ ক্রোক করা হলো।

এর বাইরে তুহিন ও জামিলার ব্যাংকে জমা এক কোটি ৬ লাখ ১৭ হাজার ২৯১ টাকাসহ ব্যাংক হিসাব স্থগিত করা হয়েছে। অবৈধ উপায়ে এসব সম্পদ অর্জন করা হয়েছে বলে দাবি দুদকের।

সম্পদ ক্রোকের বিষয়ে তুহিন লস্কর গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ঢাকায় আমার নামে কোনো ফ্ল্যাট নেই। গোপালগঞ্জের বাড়ি আগে ক্রোক করে আবার নতুন করে ক্রোক দেখানো হচ্ছে। বাড়ি নির্মাণের ব্যয় দুদকে বেশি দেখানো হয়েছে। এ ব্যাপারে উচ্চ আদালতের নোটিশের নিষ্পত্তি না করে এসব করা হচ্ছে। আমার সব সম্পত্তি আয়করের আওতাধীন। এখানে জাল-জালিয়াতির কিছু নেই। তদন্ত করলে প্রকৃত সত্য বেরিয়ে আসবে। মামলা না করে দুদকের সম্পদ জব্দের তৎপরতা হয়রানি ছাড়া আর কিছুই নয়।’

অভিযুক্ত ট্রাফিক ইন্সপেক্টর তুহিন লস্কর ফরিদপুর জেলা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত হলেও বর্তমানে প্রেষণে রংপুরে আছেন।

এসআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।