ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংঘর্ষ, ৪০ বাড়িঘরে হামলা-লুটপাট
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের বড়হরণ এলাকায় এই সংঘর্ষ চলে। সংঘর্ষে অন্তত ৪০টি বাড়িঘরে হামলা ও লুটপাট করা হয়।
পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় ককটেল ও দেশীয় অস্ত্রসহ আটজনকে আটক করা হয়।
আটকরা হলেন, বড়হরণ এলাকার মো. জসিম উদ্দিন (৫৫), মো. জহিরুল মোল্লা (৩৫), মো. জাহাঙ্গীর মিয়া (৪৫), মো. রনি (১৪), মো. শামীম (১৬), নরসিংসার গ্রামের আব্দুল রাফি (১৭), মো. মানিক মিয়া (১৯) ও মো. মনির হোসেন (৪২)।
স্থানীয়রা জানান, আওয়ামী লীগ নেতা এলাম খাঁ ও জাকির হোসেনের সঙ্গে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ওমেদ মিয়ার সঙ্গে বিরোধ চলে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় গত কয়েকদিন যাবত এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এর জেরে শনিবার দুপুরে দুই পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
দুপক্ষের ৩০০-৪০০ জন হেলমেট, লাইফ জেকেট ও লেগগার্ড পরিহিত অবস্থায় সংঘর্ষে নামে। এসময় হামলা করে লুটপাট করা হয় অন্তত ৪০টি বাড়িঘরে। এ ঘটনায় আহত হন ১৫ জন। খবর পেয়ে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নেতৃত্বে জেলা গোয়েন্দা শাখা ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর যৌথ টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থল থেকে আটজনকে আটক করা হয়। উদ্ধার করা হয় ৩৬টি এককাইট্যা, দুটি দা, একটি হাসুয়া, চারটি হেলমেট, আটটি অবিস্ফোরিত ককটেল।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) ইকবাল হোছাইন জানান, খবর পেয়ে যৌথ বাহিনীর একটি দল গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।
আবুল হাসনাত মো. রাফি/জেডএইচ/জেআইএম