নেত্রকোনায় পল্লী বিদ্যুতের শাটডাউন, অন্ধকারে ৮৬ ইউনিয়ন
নেত্রকোনায় পল্লী বিদ্যুতের কমপ্লিট শাটডাউন চলছে। বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে জেলার ১০টি উপজেলায় পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ বন্ধ রয়েছে। এতে করে হাসপাতালের রোগীসহ দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে গ্রাহকদের। বেলা পৌনে ৩টার দিকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শাটডাউন চলছিল।
স্থানীয় বাসিন্দা ও নেত্রকোনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি আইবি-পল্লী বিদ্যুৎ একীভূতকরণ এবং অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়নসহ চুক্তিভিত্তিক ও অনিয়মিত কর্মচারীদের স্থায়ী নিয়োগের দাবিতে আন্দোলন চলমান।
পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তাদের দাবি, আন্দোলন করায় এরই মধ্যে ১০ কর্মকর্তার নামে মামলা হয়েছে। তাদের মধ্যে চারজনকে বৃহস্পতিবার সকালে আটক করা হয়। এরমধ্যে বারহাট্টা পল্লী বিদ্যুতের এজিএম মনির হোসেনকে সকাল পৌনে ৯টার দিকে আটক করা হয়।
এরপর থেকে নেত্রকোনায় পল্লী বিদ্যুৎ সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে করে জেলায় অন্তত ছয় লাখ ৩৫ হাজার ১২৭ জন গ্রাহক ভোগান্তিতে পড়েন। বিদ্যুৎ না থাকায় বিশেষ করে হাসপাতালে রোগীদের বেশি ঝামেলা হচ্ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে বিদ্যুৎ নেই। রোগীরা খুবই ঝামেলায় পড়েছেন। স্থানীয় পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কার্যালয় বন্ধ রেখেছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নেত্রকোনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মাসুম আহমেদ বলেন, পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া না মানায় শাটডাউন চলছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে বারহাট্টা কার্যালয়ের এজিএমকে আটক করা হয়। জেলা প্রশাসক এ বিষয়ে আমাদের ডেকেছেন। ওনার সঙ্গে সভা শেষে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বারহাট্টা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, আমাদের পুলিশের কোনো সদস্য বারহাট্টা পল্লী বিদ্যুতের এজিএমকে আটক করেনি। আজ সকাল পৌনে ৯টার দিকে সেনাবাহিনী আটক করে থানায় নিয়ে আসে। কিছুক্ষণ পর আবার তারা ছেড়ে দেয়।
জেলা প্রশাসক বনানী বিশ্বাস বলেন, নেত্রকোনায় পল্লী বিদ্যুতের কমপ্লিট শাটডাউন চলছে। বিদ্যুতের কর্মকর্তাদের নিয়ে বসা হয়েছে। আশা করা যায়, কিছুক্ষণের মধ্যে আমরা একটি ইতিবাচক সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারবো।
এইচ এম কামাল/জেডএইচ/এএসএম