দেবে গেছে কাঠের সেতু, চলাচলে ভোগান্তি
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার বড় মানিক এলাকা দিয়ে বয়ে গেছে ছোট যমুনা নদী। এই নদীতে নির্মাণ করা হয়েছিল একটি কাঠের সেতু। প্রায় ৯ মাস আগে নির্মাণ করা কাঠের সেতুর খুঁটি দেবে গিয়ে মাঝখানের পাটাতন বেঁকে হেলে পড়েছে। এখন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে কাঠের সেতুটি।
সম্প্রতি সরেজমিন দেখা যায়, হ্যান্ডমাইকে ঘোষণা দিয়ে সেতু দিয়ে সব ধরনের রিকশা-ভ্যান চলাচলে নিষেধ করা হচ্ছে। সেতুর দুই পাশের মুখে যাত্রীদের নামিয়ে দিয়ে খালি রিকশা-ভ্যান পার করছেন চালকরা। লোকজন পায়ে হেঁটে পার হচ্ছেন।
কাঠের সেতুতে গিয়ে দেখা গেলো, দুই লেনের কাঠের সেতুতে একপাশে দিয়ে একটি করে রিকশা-ভ্যান যাওয়ার রাস্তা আছে। এক লেনে একইসঙ্গে রিকশা ও সাইকেল চলাচল করতে পারে না। ইউক্যালিপটাস গাছ দিয়ে খুঁটি করা হয়েছে। সেতুর মাঝখানে খুঁটি দেবে গিয়ে এক পাশে বেঁকে দেবে গেছে। ঠিকাদারের লোকজন দেবে যাওয়া সেতুটি সচলের চেষ্টা করছেন।
রতনপুর এলাকার অটোরিকশাচালক আব্দুল মজিদ জাগো নিউজকে বলেন, ‘যেনতেনভাবে সেতুটি করা হয়েছে। এখন বেঁকে গেছে। যাত্রীতো দূরের কথা, খালি গাড়ি নিয়ে যেতেই ভয় লাগে।’
পথচারী উলফত আলী জাগো নিউজকে বলেন, ‘পুরাতন সেতু ভেঙে তার পাশে লোহার বেইলি সেতু করার কথা বলা হয়েছিল। বেইলি সেতুর টাকা মেরে দিয়ে কাঠের সেতু করেছে। এখন সেতুর নড়বড়ে অবস্থা।’
এ বিষয়ে উপসহকারী প্রকৌশলী সঞ্জিত চন্দ্র চৌধুরী বলেন, ছোট যমুনা নদীর বড় মানিক এলাকায় একটি গার্ডার নতুন সেতু নির্মাণ হচ্ছে। এ কারণে পুরোনো সেতু ভেঙে অনেক আগেই ঠিকাদার কাঠের দুই লেনের বিকল্প সেতু তৈরি করে দিয়েছেন। ছোট ছোট যানবাহন কাঠের সেতু দিয়ে পারাপার হচ্ছিল। কিন্তু নদীতে পানি বেড়ে যাওয়ায় কাঠের সেতুটি দেবে গেছে। এ কারণে চলাচলের সমস্যা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘বেইলি সেতু নির্মাণে বরাদ্দ ছিল বলে এলাকার লোকজন আমাদের প্রশ্ন করেন। আসলে বেইলি নয়, কাঠের সেতুর জন্য বরাদ্দ ছিল। বরাদ্দের বাইরে তো ঠিকাদার কাজ করতে পারবে না।’
পাঁচবিবি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফা সুলতানা জাগো নিউজকে বলেন, এলজিইডির সঙ্গে কথা বলেছি। এরইমধ্যে প্রকৌশলী সেতুটি পরিদর্শন করেছেন। দ্রুত এটি ঠিক করতে বলা হয়েছে।
আল মামুন/এসআর/জেআইএম