৭২ দিন পর কবর থেকে তোলা হলো সাকিবের মরদেহ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি রাজশাহী
প্রকাশিত: ০১:১৭ পিএম, ১৬ অক্টোবর ২০২৪

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজশাহীতে নিহত শিক্ষার্থী সাকিব আনজুমের মরদেহ ৭২ দিন পর কবর থেকে তোলা হয়েছে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

বুধবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ৮টায় আদালতের নির্দেশে নগরীর টিকাপাড়া কবরস্থান থেকে মরদেহ তোলা হয়। মরদেহ উত্তোলনের সময় রাজশাহী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অয়ন ফারহান শামস, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মশিয়ার রহমান ও নিহতের পরিবারের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

রাজশাহী নগর গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মশিয়ার রহমান জানান, ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর পুলিশ ও চিকিৎসক না পাওয়ার কারণে সাকিব আনজুমের মরদেহ সুরতহাল এবং ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন করা হয়েছিল। সে কারণে সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে মরদেহ কবর থেকে তুলতে আদালতে আবেদন করা হয়। আদালত নির্দেশ দিলে আজ নিহতের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। বিকেলে ময়নাতদন্ত শেষে একই কবরস্থানে দাফন করা হবে।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সাকিব আনজুম নিহতের ঘটনায় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ও ৪২ জনের নাম উল্লেখসহ ৩৪২ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে বোয়ালিয়া মডেল থানায় মামলা করে নিহতের বাবা মাইনুল হক। শুরুতে বোয়ালিয়া থানা পুলিশ তদন্ত করলেও পরে এই মামলার তদন্তের দায়িত্ব পায় নগর ডিবি পুলিশ।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মশিয়ার রহমান জানান, এই মামলায় মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, যুবলীগ নেতা রুবেলসহ বেশ কয়েকজন গ্রেফতার রয়েছেন। এরমধ্যে ডাবলু সরকারকে ১৬ দিনের দুই দফা রিমান্ডে নেয় পুলিশ।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ৫ আগস্ট রাজশাহীতে ছাত্র-জনতার সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতাদের সংঘর্ষের সময় শাহমুখদুম কলেজের পাশে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান সাকিব আনজুম। তাকে দুই দফা গুলি করে হত্যা করা হয়।

নিহত সাকিবের বাড়ি নগরীর রাণীনগর এলাকায়। তিনি বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের ছাত্র ছিলেন।

সাখাওয়াত হোসেন/জেডএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।