লক্ষ্মীপুরে বিস্ফোরণের কারণ নিম্নমানের সিলিন্ডার
লক্ষ্মীপুর-রামগতি সড়কে চলাচলকারী মেঘনা ক্লাসিক বাসের নিম্নমানের গ্যাস সিলিন্ডারের কারণেই বিস্ফোরণ ঘটেছে। এতে ঘটনাস্থলে ৩ জনের মৃত্যুসহ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে জেলা প্রশাসক (ডিসি) রাজীব কুমার সরকার প্রাথমিকভাবে এ তথ্য জানিয়েছেন।
এদিকে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অতিরিক্তি জেলা ম্যাজিস্ট্রেট প্রিয়াংকা দত্তকে প্রধান করে এ কমিটি করা হয়। আগামী ৫ কর্মদিবসের মধ্যে দুর্ঘটনার কারণসহ সংশ্লিষ্টদের ত্রুটিগুলো বের করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিসি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, রোববার (১৩ অক্টোবর) দিবাগত রাতে লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের ইসলাম মার্কেট এলাকায় গ্রীন লিপ সিএনজি ফিলিং স্টেশনে গ্যাস নেওয়ার জন্য মেঘনা ক্লাসিকের (চট্ট মেট্রো-জ-১১-১৯৪০) বাসটি নেওয়া হয়। বাসের সিলিন্ডারে গ্যাস রিফিলের সময় বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে বাসের আশপাশের লোকজন আহত হন। ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনজন। কয়েকজন হাত-পা হারিয়েছেন। এছাড়া অন্তত ১০ জনের শরীরের বিভিন্ন অংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গ্রিন লিপ সিএনজি ফিলিং স্টেশনের কর্মী মো. হুমায়ুন কবির জানিয়েছেন, সিলিন্ডারে গ্যাস রিফিল করার সময় বাসটি কেঁপে উঠেছিল। এ সময় রিফিলকর্মী (নজেলম্যান) দ্রুত গ্যাসের নজেল খুলে নেন। সঙ্গে সঙ্গেই বিকট শব্দে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটে।
লক্ষ্মীপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রঞ্জিত কুমার বলেন, খবর পেয়েই আমরা ঘটনাস্থল পৌঁছেছি। হতাহতদের উদ্ধার করেছি। বাসের গ্যাস সিলিন্ডারটি নিম্নমানের ছিল। এতে গ্যাস নেওয়ার সময় সিলিন্ডারটি বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি।
কাজল কায়েস/এফএ/এএসএম