সাগরে প্রতিমা বিসর্জনে নেমে নিখোঁজ শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি কক্সবাজার
প্রকাশিত: ১২:১৫ পিএম, ১৪ অক্টোবর ২০২৪

কক্সবাজার সৈকতে প্রতিমা বিসর্জন দিতে গিয়ে নিখোঁজ স্কুল শিক্ষার্থীর মরদেহ ১৩ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (১৪ অক্টোবর) সকাল ৬টার দিকে সৈকতের কবিতা চত্বর পয়েন্ট থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছেন ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়নের এসপি মাহফুজুল ইসলাম।

নিখোঁজ শিক্ষার্থী প্রবাল দে প্রান্ত (১৪) কক্সবাজারের ঈদগাঁওয়ের ইসলামাবাদ ইউনিয়নের হরিপুর এলাকার ওমান প্রবাসী পলাশ দেবের ছেলে। সে ঈদগাঁও আদর্শ শিক্ষা নিকেতনের (কেজি স্কুল) নবম শ্রেণির ছাত্র ছিল।

রোববার (১৩ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে কক্সবাজার সৈকতের লাবনী পয়েন্টে প্রতিমা বিসর্জন দিতে গিয়ে নিখোঁজ হয় প্রবাল।

কক্সবাজার সি সেইফ লাইফ গার্ডের বরাত দিয়ে কক্সবাজার সদর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট বাপ্পী শর্মা বলেন, প্রতিমা বিসর্জন দিতে গিয়ে দুই কিশোর সাগরের ঢেউয়ে ডুবে গিয়েছিল। লাইফ গার্ড কর্মীরা একজনকে উদ্ধার করতে পারলেও প্রবাল নিখোঁজ ছিল। তাকে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও পাওয়া যায়নি। কিন্তু সোমবার সকালে সৈকতের কবিতা চত্বর পয়েন্ট থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে জোয়ারের পানিতে মরদেহটি কুলে ভেসে এসেছে।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আতাউল গনি ওসমানী বলেন, সকালে সৈকতের কবিতা চত্বর এলাকায় মাছ ধরতে যাওয়া জেলেরা একটি মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। লাইফ গার্ড ও পুলিশ সদস্যরা গিয়ে সকাল ৬টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করে।

মরদেহটি গতকাল সন্ধ্যায় প্রতিমা বিসর্জনের সময় নিখোঁজ প্রবালের বলে শনাক্ত করেছে তার স্বজনরা। মরদেহটি কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে রয়েছে।

নিহত প্রবালের প্রতিবেশী চন্ডি আচার্য্য বলেন, প্রবালের বাবা পলাশ দে ওমান প্রবাসী। পলাশ ও কাকলী দে দম্পতির দুই সন্তান। প্রবালের বয়স ১৪ বছর আর দ্বিতীয় সন্তানের বয়স মাত্র ৯ মাস। প্রবাল আমার ছেলে চিন্ময় আচার্য্য রঘুর সহপাঠী। এভাবে প্রবালের মৃত্যুতে তার পরিবার, স্বজন, সহপাঠী ও এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

সায়ীদ আলমগীর/এফএ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।