সীমান্তে আটক সেই যুগ্ম সচিব হত্যা মামলার আসামি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে পালানোর সময় বিজিবি’র হাতে আটক ওএসডি থাকা যুগ্ম সচিব এ.কে.এম.জি কিবরিয়া মজুমদারকে আদালতে পাঠিয়েছে থানা পুলিশ। রোববার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জহিরুল হক কবির জানান, আটক যুগ্ম সচিবের বিরুদ্ধে পল্টন থানায় হত্যা ও অগ্নিসংযোগসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে। সেই মামলায় তিনি পলাতক আসামি ছিলেন। তাকে দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে শনিবার (১২ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলার পুটিয়া এলাকা থেকে তাকে আটক করে বিজিবি ৬০ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা। তাকে ওই দিনই সন্ধ্যায় কসবা থানায় সোপর্দ করা হয়। তার বিরুদ্ধে বিজিবির পক্ষ থেকে ১৯৭৩ সনের পাসপোর্ট আইনে মামলা করা হয়। এছাড়া ঢাকার পল্টন থানায়ও তার বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা রয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
শনিবার আটকের পর সুলতানপুর ৬০ বিজিবির পক্ষ থেকে প্রেস রিলিজে জানায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সীমান্তবর্তী কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের সীমান্তঘেঁষা শূন্য রেখার ২০৫০নং পিলার থেকে ৫০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পুটিয়া এলাকায় কিবরিয়া মজুমদার নামে ওই যুগ্ম সচিব ভারতে অনুপ্রবেশের জন্য সীমান্ত এলাকায় ঘোরাঘুরি করছিলেন। এ সময় সালদানদী বিওপির টহল দল তাকে আটক করে।
আটক এ. কে. এম. জি. কিবরিয়া মজুমদার জাতীয় সংসদের সাবেক স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরীর অধীনে যুগ্ম সচিব হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কোমরকরা গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দিন আহাম্মদ মজুমদারের ছেলে।
আবুল হাসনাত মো. রাফি/এফএ/এএসএম