মজিবুর রহমান মঞ্জু
যারা গণহত্যা চালিয়েছে তাদের বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিচার করতে হবে
আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন, যারা গণহত্যা চালিয়েছেন, জুলুম করেছেন, দুর্নীতি করে অবৈধ পাহাড়ের সম্পদ গড়েছেন; তাদের অনেকে এখনো দেশে আছেন। এদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
তিনি বলেন, বিশেষ ট্রাইব্যুনালে এদের বিচার করতে হবে। আন্দোলনে আহত ও নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। আহতদের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।
রোববার (১৩ অক্টোবর) কুমিল্লা নগরীর মনোহরপুরে একটি পার্টি সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন মজিবুর রহমান মঞ্জু।
মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘দেশের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে বলেছি ১৮ মাস কিংবা ২৪ মাসের মধ্যে সংস্কার কাজগুলো সম্পন্ন করে নির্বাচন দিতে হবে। আমরা একটি সুন্দর নির্বাচন উপহার চাই তাদের কাছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য রাজনৈতিক দল গঠন করেছি। আমরা রাষ্ট্রের সমস্যাগুলোর সমাধানমূলক কাজ করবো। তবে আমাদের দল জামায়াতের অংশ নয়। তাদের নীতি কিংবা আদর্শের সঙ্গে আমাদের কোনো মিল নেই। এবি পার্টি একটি গণতান্ত্রিক দল।’
ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে রাজনৈতিক কার্যক্রম চালাতে দেওয়া হয়নি বলে উল্লেখ করে মঞ্জু বলেন, ‘ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। বিজয় অর্জন সহজ কিন্তু বিজয়কে ধরে রেখে সামনে এগিয়ে যাওয়া কঠিন। এখন আমাদের বড় দায়িত্ব সামনের দিকের চ্যালেঞ্জ সঠিকভাবে পরিচালনা করা।’
তিনি বলেন, ‘এখন ছাত্র ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কার অবদান বেশি—এ নিয়ে টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়েছে। সব টানাপোড়েন বাদ দিয়ে আমরা একটি সুন্দর বাংলাদেশ দেখতে চাই।’
এসময় এবি পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, যুগ্ম আহ্বায়ক হেলাল উদ্দিন, দিদারুল আলম, যুগ্ম সদস্যসচিব জুবায়ের আহমেদসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিময় শেষে এবি পার্টির কুমিল্লা জেলা ও মহানগরের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। মিয়া মো. তৌফিককে আহ্বায়ক, আবদুল কাইয়ুমকে সদস্যসচিব ও আবু সালেহ মো. মাসুদকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে জেলা কমিটি গঠন করা হয়েছে।
মহানগরে গোলাম মোহাম্মদ সামদানীকে আহ্বায়ক, ওমর ফারুক সোহাগকে যুগ্ম আহ্বায়ক, আবু সাইদকে সদস্যসচিব ও ইসমাইল হোসেনকে সাংগঠনিক সম্পাদক ঘোষণা করা হয়।
জাহিদ পাটোয়ারী/এসআর/জিকেএস