ভিমরুলের কামড়ে বাবা-মেয়ের পর ছেলেরও মৃত্যু
ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় ভিমরুলের কামড়ে বাবা আবুল কাশেম ও মেয়ে লাবিবা আক্তারের মৃত্যুর পর ছেলে সিফাত উল্লাহও (৬) মারা গেছে।
শনিবার (১২ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সিফাত। এর আগে দুপুর ১টায় আবুল কাশেম ও বিকেল ৩টায় তার মেয়ে লাবিবা (৮) মারা যায়।
আবুল কাশেম উপজেলার দুধনই গ্রামের বাসিন্দা। তিনি দুধনই বাজার জামে মসজিদে ইমামতি করতেন এবং মেয়ে লাবিবা ইদারাতুল কোরআন মাদরাসায় প্রথম শ্রেণিতে পড়তো।
ধোবাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আল মামুন সরকার সিফাত উল্লাহর মৃত্যুর বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শনিবার সকাল ১০টায় লাকড়ি আনার জন্য মেয়ে লাবিবা ও ছেলে সিফাতকে নিয়ে বন্যার পানিতে নৌকা দিয়ে বাজারে যাচ্চিলেন আবুল কাশেম। বাড়ির পাশেই একটি বাঁশঝাড়ে নৌকা আটকে যায়। তখন বাসা ভেঙে যাওয়ায় তাদের ওপর আক্রমণ করে ভিমরুল। এসময় তিনজনই গুরুতর আহত হন।
পরে তাদের উদ্ধার করে ধোবাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান স্থানীয়রা। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় আবুল কাশেম ও ছেলে সিফাতকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পথে দুপুর ১টায় আবুল কাশেম মারা যান।
এরপর বিকেল ৩টায় ধোবাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মারা যায় মেয়ে লাবিবা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ছেলে সিফাতউল্লাহকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ৯টার দিকে মারা যায় সে।
এ ঘটনার খবর পেয়ে নিহতদের বাড়িতে গিয়ে সমবেদনা জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিশাত শারমিন। তিনি নিহত তিনজনের পরিবারের কাছে আর্থিক সহায়তা তুলে দেন।
মঞ্জুরুল ইসলাম/বিএ