পুকুর নিয়ে দ্বন্দ্বে বোন ও ভাবীকে কুপিয়ে হত্যা
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার শানঘাট গ্রামে আপন বোন জোসনা খাতুন (৫২) এবং ভাবী জাকিউল ইলমাকে (৪২) কুপিয়ে হত্যা করেছেন মহিবুল ইসলাম ওহিদ নামে এক ব্যক্তি। জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে শনিবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। একই ঘটনায় আহত হয়েছেন মহিবুলের ভাই জাহিদ হোসেন ও বোন শামীমা খাতুন (৩২)।
নিহত জাকিউল ইলমা গাংনী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন। ঘটনার পর পালিয়ে গেছেন মহিবুল ইসলাম ওহিদ। তিনি শানঘাট পল্লী উন্নয়ন সংস্থা নামের একটি এনজিওর নির্বাহী পরিচালক।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শানঘাট গ্রামের মহিবুল ইসলাম ওহিদের সঙ্গে তার বড় ভাই জাহিদ হোসেন এবং তিন বোনের পৈত্রিক জমির মালিকানা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। মহিবুল ইসলাম ওহিদ একাই প্রায় দেড় একর জমির পুকুর দখল নিয়ে মাছচাষ করে আসছেন। দুই ভাই এবং তিন বোন মিলে সকাল থেকে পুকুর ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনা করছিলেন। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া ও বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। এ সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে মহিবুল ইসলাম ওহিদ তার ভাই-বোনদের ওপর আক্রমণ করেন। এতে ঘটনাস্থলেই বোন জোসনা খাতুন ও বড় ভাইয়ের স্ত্রী জাকিউল ইলমা নিহত হন।
গুরুতর আহত অবস্থায় মহিবুলের ভাই জাহিদ হোসেন ও ছোট বোন শামীমাকে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তাদের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে বলে জানান গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আব্দুল আল মারুফ।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী নিহত জোসনা খাতুনের স্বামী কুদরত-ই-হাফিজ জানান, তিন ভাইয়ের মধ্যে জমিজমা ভাগাভাগি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। মহিবুল ইসলাম ওহিদ বাড়ির পাশের ১ একর ২৮ শতক জমির একটি পুকুর দখল করে আছে। ভাই বোনদের ভাগ নির্ধারণ করার জন্য আজ সবাই মিলে আলোচনায় বসা হয়েছিল। এক পর্যায়ে মহিবুল ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে। এতে ঘটনাস্থলেই দু'জনের মুত্যু হয়। আহত হয় দু'জন।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মরদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। বোন ও ভাবীর হত্যাকারী মহিবুল ইসলাম ওহিদকে গ্রেফতারে পুলিশ কাজ শুরু করেছে।
আসিফ ইকবাল/এফএ/এএসএম