ব্রাহ্মণবাড়িয়া

খাসজমি উদ্ধার করে খেলার মাঠ করা হবে: নবীনগর ইউএনও

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ব্রাহ্মণবাড়িয়া
প্রকাশিত: ০৮:২৫ পিএম, ১১ অক্টোবর ২০২৪

খাসজমি উদ্ধার করে খেলার মাঠ তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর ফরহাদ শামিম।

বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) খারঘর গণহত্যা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন খারঘর গণকবর সংরক্ষণ ও বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি সিনিয়র সাংবাদিক কাজী ইমরুল কবীর সুমন।

খারঘর গণকবর সংরক্ষণ ও বাস্তবায়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দীন আহমেদ জীবনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালের ফিজিক্যাল মেডিসিন ও রিহ্যাবিলিটেশন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও অধ্যাপক ডা. রুহুল আমিন, সেনাবাহিনীর চিকিৎসক মেজর আসাদুজ্জামান রিফাত, নবীনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সজল কান্তি দাস, জাতীয় দলের কোচ জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত ক্রীড়াবিদ মোহাম্মদ কাওসার, নবীনগর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আবু কামাল খন্দকার, নবীনগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম সবুজ প্রমুখ।

এরআগে ইউএনও তানভীর ফরহাদ শামিম ও নবীনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সজল কান্তি দাসের উদ্যোগে ৭১ শহীদ স্মৃতিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়। আলোচনা সভা শেষে শহীদদের স্মরণে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন এবং উপস্থিত সবাইকে আপ্যায়ন করা হয়।

১৯৭১ সালের ১০ অক্টোবর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার ১ নম্বর ইউনিয়ন বড়াইল (তৎকালীন সাদেকপুর পশ্চিম ইউনিয়ন) খারঘর গ্রামে পাকিস্তানি হানদারদের হামলায় ৪৩ জন মুসলিম গ্রামবাসী ও মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। এরমধ্যে এখানে দুটি গণকবরে তাদের সমাহিত করা হয়।

এরআগে ১৯৭১ সালের ২৪ এপ্রিল বড়াইল বাজারের উত্তরে হিন্দুপাড়া থেকে আটজন হিন্দু গ্রামবাসীকে গুম করে স্থানীয় রাজাকার ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিহারিরা। সেই হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে পাশাপাশি দুই গ্রাম থেকে ৫১ জন গ্রামবাসী নিহত ও গুম হন।

এসআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।