‘প্রতি চারজনের মধ্যে একজনের উচ্চ রক্তচাপ’

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক রংপুর
প্রকাশিত: ০৩:০৩ পিএম, ১০ অক্টোবর ২০২৪

বাংলাদেশে উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা অনিয়ন্ত্রিতভাবে বাড়ছে। উচ্চ রক্তচাপজনিত বিভিন্ন অসংক্রামক রোগ মোকাবিলায় এরই মধ্যে তৃণমূল পর্যায়ে বিনামূল্যে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ প্রদানের কাজ শুরু হয়েছে। তবে বিদ্যমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দেশের সব স্বাস্থ্যকেন্দ্রে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। একই সঙ্গে নিরবচ্ছিন্ন ওষুধ সরবরাহ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) রংপুর আরডিআরএস কনফারেন্স রুমে ‘উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশের অগ্রগতি এবং করণীয়’ শীর্ষক এক সাংবাদিক কর্মশালায় এসব তথ্য ও সুপারিশ তুলে ধরা হয়।

কর্মশালায় জানানো হয়, বাংলাদেশে প্রতি চারজন প্রাপ্তবয়স্কের মধ্যে একজনের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে। হৃদরোগ, স্ট্রোক, ক্যানসার, কিডনি রোগ, শ্বাসতন্ত্রের রোগ ও ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন অসংক্রামক রোগের অন্যতম প্রধান ঝুঁকি উচ্চ রক্তচাপ। বাংলাদেশে মোট মৃত্যুর ৭০ শতাংশের জন্য অসংক্রামক রোগ দায়ী হলেও এসব রোগ মোকাবিলায় অর্থ বরাদ্দের পরিমাণ খুবই সামান্য, মোট স্বাস্থ্য বাজেটের মাত্র ৪ দশমিক ২ শতাংশ।

উচ্চ রক্তচাপের মতো ভয়াবহ অসংক্রামক রোগ মোকাবিলায় তৃণমূল পর্যায়ে ওষুধের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি এখাতে টেকসই অর্থায়ন নিশ্চিত করা গেলে অসংখ্য জীবন বাঁচানোসহ হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোক প্রতিরোধ করা সম্ভব।

কর্মশালায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জিএইচএআই বাংলাদেশ কান্ট্রি লিড মুহাম্মাদ রূহুল কুদ্দুস, আত্মার কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও এটিএন বাংলার রংপুর বিভাগীয় প্রতিনিধি মো. মাহবুবুল ইসলাম এবং প্রজ্ঞার নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের।

কর্মশালায় বিষয়ভিত্তিক উপস্থাপনা তুলে ধরেন প্রজ্ঞার পরিচালক মো. শাহেদুল আলম এবং কোঅর্ডিনেটর সাদিয়া গালিবা প্রভা।

গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটরের (জিএইচএআই) সহযোগিতায় কর্মশালার আয়োজন করে প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান)। কর্মশালায় রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলায় কর্মরত প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক এবং অনলাইন মিডিয়ার ৩১ সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন।

জিতু কবীর/জেডএইচ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।