সাঁথিয়া পৌর সদর: উদ্বোধনের তিন মাসেই সড়কে ধস
পাবনার সাঁথিয়া পৌরসভার বোয়াইলমারী-আমোষ সড়কটি উদ্বোধনের তিন মাসের মধ্যেই ধসে যাচ্ছে। সড়ক প্রশস্তকরণ ও সংস্কারকাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার, দুর্বল প্যালাসাইডিং (রাস্তার পাশে খুঁটি পুঁতে বেড়া) ও মাটির কাজ ঠিকমত না হওয়ায় এ অবস্থা হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
নগর পরিচালন ও অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের (আইইউজিআইপি) আওতায় নির্মিত সড়কটির অনেক কাজ বাদ রেখে গত জুন মাসে এটি উদ্বোধন করা হয়।
পৌরসভা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পৌর এলাকার বোয়াইলমারী থেকে আমোষ গ্রামের তিন মাথা পর্যন্ত আড়াই কিলোমিটার দৈর্ঘ্যর রাস্তাটি প্রশ্বস্তকরণ এবং সংস্কার কাজ করা হয়েছে। এতে বরাদ্দ ছিল তিনি কোটি ৩৬ লাখ ৮ হাজার টাকা। ডিসিএল অ্যান্ড ওসিএল জয়েন্ট ভেঞ্চার নামের প্রতিষ্ঠান ঠিকাদারি কাজ করে।
২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে কাজ শুরু হয়। চলতি বছরের জুন মাসে তড়িঘড়ি করে কার্পেটিংয়ের কাজ শেষ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। সড়কবাতি, রোড সাইন, ট্রাফিক সাইনসহ অন্যান্য কাজ বাকি রেখেই সড়কটি উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধন করেছিলেন জাতীয় সংসদের সাবেক ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু।
গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে সড়কের তিনটি স্থান ধসে গেছে। কিছু জায়গায় ফাটল ধরেছে। সেসব অংশও যে কোনো সময় ধসে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা শাহিন আলম বলেন, রাস্তার কাজ শেষ হওয়ার আগেই এভাবে ধসে যাবে, সড়ক ভেঙে যাবে, এটা কেমন কথা? এ কাজে ত্রুটি আছে।
সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক আ. বাতেন বলেন, আগে আমরা অনেক কষ্ট করে যাত্রী নিয়ে গাড়ি চালিয়েছি। আশা ছিল, সড়কের কাজ শেষ হলে কষ্ট লাঘব হবে। স্বস্তির বদলে এখনো ঝুঁকি নিয়ে চলতে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে আইইউজিপি প্রকল্পের প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, বিষয়টি জানার পর তদন্ত করা হয়েছে। মাটি এবং প্যালাসাইডিং দুর্বল হওয়ায় বৃষ্টিপাতের কারণে সড়কটি ধসে গেছে। এখনো কাজ শেষ হয়নি। চূড়ান্ত বিলও পায়নি ঠিকাদার।
নির্মাণ কাজের ঠিকাদার হারুন অর রশিদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। পৌরসভার প্রশাসক ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিফাতুল হক বলেন, এখানে পুরোনো প্যালাসাইডিং থাকায় নতুন কাজে প্যালাসাইডিং ধরা হয়নি। পাশে পুকুর থাকায় পুরোনো প্যালাসাইডিং পড়ে গেছে। ঠিকাদারকে বলা হয়েছে, তিনি ধসে যাওয়া অংশগুলো মেরামত করে দেবেন বলে জানিয়েছেন।
আমিন ইসলাম জুয়েল/জেডএইচ/এমএস