শেরপুরে কমতে শুরু করেছে বন্যার পানি, সুপেয় পানির সংকট চরমে

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি শেরপুর
প্রকাশিত: ০৮:৫০ এএম, ০৭ অক্টোবর ২০২৪

বৃষ্টি না থাকায় শেরপুরে কমতে শুরু করেছে বন্যার পানি। তবে এখনো পানিবন্দি রয়েছেন অনেক মানুষ। অন্যদিকে পানি কমতে শুরু করায় ভেসে উঠছে ক্ষতির চিহ্ন। দুর্গত এলাকায় দেখা দিয়েছে খাবার ও সুপেয় পানির সংকট।

স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, তিনদিনের বন্যায় এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে আটজনের। নালিতাবাড়ী-শেরপুর সড়কের ভাঙা স্থানে বস্তা ফেলে ছোট যান চলাচল স্বাভাবিক করা হলেও ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

বন্যার কারণে জেলার ২৪২টি প্রাথমিক ও ৮৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। জেলার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা দিয়েছে প্রশাসন।

টানা চারদিনের ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়ে শেরপুরের পাঁচ উপজেলা। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েন দুই লাখের বেশি মানুষ। পৌনে দুই লাখ কৃষকের প্রায় পঞ্চাশ হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে এবারের বন্যায়। তিন হাজার মাছের ঘের ভেসে গিয়ে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ত্রিশ কোটি টাকা।

jagonews24

শেরপুরের এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এই মুহূর্তে গ্রামীণ সড়কগুলোতে পানি থাকায় ক্ষতি নিরূপণ করা যাচ্ছে না। উপজেলা পর্যায়ে আমাদের টিম রেডি আছে। যেকোনো জরুরি প্রয়োজনে তারা কাজ করবে। পানি নেমে গেলে, ক্ষতির পরিমাণ বলা যাবে।

শেরপুর খামারবাড়ীর উপপরিচালক ড. সুকল্প দাস বলেন, পাহাড়ি ঢলে তিন উপজেলার আমন ধান ও সবজি আবাদ নষ্ট হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি কমবেশি নির্ভর করবে পানি নেমে যাওয়ার ওপর। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।

ইমরান হাসান রাব্বী/এমএইচআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।