সড়ক দুর্ঘটনা

৯ মাসে ঈশ্বরদীর এক প্রতিষ্ঠানের আট শিক্ষার্থী নিহত

উপজেলা প্রতিনিধি উপজেলা প্রতিনিধি ঈশ্বরদী (পাবনা)
প্রকাশিত: ১২:১৯ পিএম, ০৪ অক্টোবর ২০২৪

পাবনার ঈশ্বরদীতে গত ৯ মাসে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আটজন শিক্ষার্থী সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। গত বছরের নভেম্বর থেকে চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত এ দুর্ঘটনাগুলো ঘটে।

ঈশ্বরদী হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ি সূত্রে জানা যায়, ৯ মাসে ঈশ্বরদী সরকারি ভোকেশনাল টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটের আটজন শিক্ষার্থী সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। এসব দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিন শিক্ষার্থী।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি সূত্রে জানা যায়, ৪ জুলাই রাত ৯টার দিকে ঈশ্বরদী-পাবনা মহাসড়কের পাবনা সুগার মিলের সামনে প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাঁচজন নিহত ও দুজন আহত হন। নিহতদের মধ্যে চারজনই টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউটের ছাত্র। তারা হলেন- জিহাদ হোসেন (১৭), শাওন হোসেন নূর (১৭), শাওন হোসেন সিফাত (১৭) ও রিয়াদুল ইসলাম শিশির (১৮)।

এর আগে ১৬ মার্চ ঈশ্বরদী-বানেশ্বর আঞ্চলিক মহাসড়কের গোকুলনগর এলাকায় দুটি মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুজন নিহত ও একজন আহত হন। নিহত দুজনের মধ্যে একজন ছিলেন ভোকেশনাল ইনস্টিটিউটের দশম শ্রেণির ছাত্র মিজানুর রহমান মিজান।

এছাড়া ২০২৩ সালের ৬ নভেম্বর পরীক্ষা দিতে টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউটে আসার পথে ঈশ্বরদী-পাবনা মহাসড়কের বহরপুর এলাকায় মোটরসাইকেল ও করিমনের মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই ছাত্র মিতুল হোসেন (১৬) মারা যান। আহত দুজন বিশাল হোসেন (১৬) ও সিয়াম হোসেনকে (১৬) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারাও মারা যান।

৯ মাসের ব্যবধানে এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আটজন শিক্ষার্থীর সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর বিষয়টিও শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মনে দাগ কেটেছে। সবাই বলছেন, এসব মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না।

টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী তানভীর হোসেন বলেন, ৪ জুলাই ঈশ্বরদী-পাবনা মহাসড়কের সুপার মিলের সামনে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত পাঁচজনের মধ্যে চারজনই আমার সহপাঠী। এমন মৃত্যু মেনে নেওয়া খুবই কষ্টের।

টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউটের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ইছাহক আলী দুলাল জাগো নিউজকে জানান, বিগত কয়েক মাসে এ প্রতিষ্ঠানের আট শিক্ষার্থী সড়ক দুর্ঘটনা ও একজন হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছে। নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মৃত্যু দুঃখজনক।

টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউটের সুপারিনটেনডেন্ট রফিকুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, নিহতরা এ প্রতিষ্ঠানের নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। আমি তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা ও নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। ভবিষ্যতে আর যেন কোনো শিক্ষার্থীর সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু না হয় সেজন্য সব শিক্ষার্থীকে সড়কে সতর্কভাবে চলাচলের পরামর্শ দিয়েছি।

শেখ মহসীন/জেডএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।