সিলেটে অটোরিকশাচালক হত্যায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড
সিলেটে অটোরিকশাচালক হত্যা মামলায় পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক শায়লা শারমিন এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের ঘোষগাউয়ের বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম (৩৩), দক্ষিণ সুনামগঞ্জ (বর্তমানে শান্তিগঞ্জ) তাইকাপন গ্রামের সুমন আহমদ (২৯), একই উপজেলার বরুমপুর গ্রামের শিপু মিয়া (২৯), ওই গ্রামের জাকারিয়া ওরফে মুন্না (৩০) ও মো. রুহুল আমিন (৩০)।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ১৭ আগস্ট রাত ৮টার সিলেটের দক্ষিণ সুরমার কদমতলী সিএনজিচালিত অটোরিকশা স্ট্যান্ড থেকে পাঁচ যুবক বিয়ানীবাজার যাওয়ার জন্য হযরত আলীর সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি ভাড়ায় নেন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিয়ানীবাজারের শিকপুর -বিয়ানীবাজার সড়কের পুরুষপাল এলাকায় পৌঁছালে যাত্রীরা হযরত আলীকে থামান। এসময় যাত্রীবেশী ছিনতাইকারীরা হযরত আলীকে ছুরিকাঘাত করে সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এসময় স্থানীয়রা খবর পেয়ে তাদের আটক করেন। পরে হযরত আলীকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই দিন রাত দেড়টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
হযরত আলী সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মঙ্গলকাটা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি সিলেটের দক্ষিণ সুরমার আলমপুর এলাকায় বসবাস করে ভাড়ায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালাতেন।
এ ঘটনার পরদিন নিহতের ছোট ভাই মো. শুকুর আলী বাদী হয়ে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে বিয়ানীবাজার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে ওই বছরের ৪ নভেম্বর আদালতে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
হত্যা মামলায় পাঁচজনের ফাঁসির রায়ের বিয়ষটি নিশ্চিত করে সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের এপিপি আবদুস সাত্তার বলেন, মামলার অভিযুক্ত পাঁচজনকে বিচারক মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা জামিনে ছিলেন। গত ২৬ সেপ্টেম্বর আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের তারিখ হতে পলাতক।
আহমেদ জামিল/আরএইচ/জিকেএস