কুয়াকাটা সৈকত থেকে হাত-পা বাঁধা যুবক উদ্ধার

উপজেলা প্রতিনিধি উপজেলা প্রতিনিধি কলাপাড়া (পটুয়াখালী)
প্রকাশিত: ০৯:০৪ এএম, ০৩ অক্টোবর ২০২৪

পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত থেকে হাত-পা বাঁধা অজ্ঞান অবস্থায় জসিম উদ্দিন (২৮) নামে এক যুবককে উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (২ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে সৈকতের ৪ কিলোমিটার পশ্চিম দিকে মাঝিবাড়ি এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় জেলেরা। পরে তাকে কুয়াকাটা ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।

উদ্ধারকৃত যুবক জসিম উদ্দিনের বাড়ি পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের কাঠালতলী এলাকায়। তিনি ওই এলাকার শাহ আলমের ছেলে। চাকরির সুবাদে ঢাকায় বসবাস করতেন।

হাসপাতালে নিয়ে আসা ভ্যানচালক কবির হোসেন বলেন, জেলেরা মাছ ধরে তীরে ফেরার সময় হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ওই লোক চিৎকার করে বাঁচাও বাঁচাও বলছিলেন। আমরা প্রথমে পাগল ভেবে কাছে গিয়ে দেখি সৈকতে শরীরে পানি ছুঁই ছুঁই অবস্থায় পড়ে আছেন তিনি। আমরা তাকে দ্রুত উদ্ধার করার পর পরিচয় দিয়ে অজ্ঞান হয়ে পরেন। তাকে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে আসি। পরে তার সঙ্গে থাকা মোবাইল দিয়ে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।

জসিম উদ্দিনের বড় বোন জোছনা মোবাইলে জানান, জসিম আমার ছোট বোনের স্বামী। তিনি একটি কোম্পানিতে সিকিউরিটি গার্ডের চাকরি করতেন। হঠাৎ চাকরি চলে যাওয়ায় গাজীপুরের একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। চাকরিতে কাগজপত্র লাগবে সেগুলো আনতে বাড়ির উদ্দেশ্যে সন্ধ্যায় লঞ্চে রওয়ানা দেন। এরপর আমাদের সঙ্গে আর কোনো যোগাযোগ নেই। আমরা সারাদিন অনেক খোঁজাখুঁজি করেছি এবং মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করেছি। তার মোবাইল বন্ধ ছিল। এখন শুনতে পেলাম তিনি কুয়াকাটা হাসপাতালে। আমরা রওয়ানা দিয়েছি।

কুয়াকাটা ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মুমসাদ সায়েম পুনম বলেন, অচেতন অবস্থায় এক ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন জেলেরা। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। অবস্থা সংকটাপন্ন হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কলাপাড়া প্রেরণ করা হবে। বর্তমানে তিনি অবজারভেশনে আছেন।

টুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোন ইনচার্জ আ. খালেক জানান, খবর পেয়ে আমরা দ্রুত হাসপাতালে চলে যাই। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ওই লোক। আমাদের সদস্যরা সেখানে তদারকি করছে। আমরা পরিবারের অপেক্ষা করছি। পরিবার এলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

আসাদুজ্জামান মিরাজ/জেডএইচ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।