যশোরে আওয়ামী লীগের ১৮ নেতাকর্মী কারাগারে

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৬:০২ এএম, ০৩ অক্টোবর ২০২৪

যশোর জেলা বিএনপি কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ১৩ জন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) রাতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। অপরদিকে, চৌগাছায় চাঁদাবাজির মামলায় আওয়ামী লীগের পাঁচ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে বুধবার (২ অক্টোবর) তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বুধবার রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুর রাজ্জাক ও চৌগাছা থানার ওসি (তদন্ত) জেল্লাল হোসেন।

জানা যায়, শেখ হাসিনার সরকারের পতনের একদিন আগে গত ৪ আগস্ট বিকেলে আওয়ামী লীগের একটি মিছিল থেকে সন্ত্রাসীরা জেলা বিএনপি কার্যালয় ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দেয়। এ ঘটনায় গত ৮ সেপ্টেম্বর জেলা বিএনপির সাবেক আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট এম এ গফুর কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করেন। এ মামলায় মঙ্গলবার রাতে ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়। বুধবার তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

তারা হলেন, যশোর শহরের পূর্ব বারান্দীপাড়া বটতলা এলাকার মৃত আনিচুর রহমানের ছেলে হুমায়ুন কবির, বিশ্বাস পাড়ার মৃত আশরাফ আলী বিশ্বাসের ছেলে রবিউল ইসলাম, সদর উপজেলার গোপালপুর গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে জাকির হোসেন, উপশহর ১ নম্বর সেক্টর এলাকার মৃত আব্দুস সামাদের ছেলে শাহিন, ভাতুড়িয়া বাজার এলাকার মৃত তোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে আতিয়ার রহমান, করিচিয়া গ্রামের মৃত শাহাদত বিশ্বাসের ছেলে ফিরোজ হোসেন, মনোহরপুর গ্রামের মোকাম আলী মোল্লার ছেলে শরিফুল মোল্লা, কিসমত রাজাপুর গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, রামনগরের ইব্রাহিম খলিলের ছেলে ওসামা বিন ইব্রাহিম, গাইদগাছি গ্রামের মৃত সাত্তার মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, হাটবিলা জামতলা এলাকার মৃত তাইজুলের ছেলে রওশন আলী ও আব্দুলপুর গ্রামের আব্বাস আলীর ছেলে আনিছুর রহমান।

অপরদিকে, চাঁদাবাজি মামলায় যশোরের চৌগাছায় আওয়ামী লীগের পাঁচ নেতাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের পৌর শহর ও উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। বুধবার বিকেলে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

চাঁদাবাজি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি চৌগাছা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক কাউন্সিলর আব্দুল মজিদকে মঙ্গলবার রাতে ছুটিপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি ওই এলাকার মৃত আফসার আলী মন্ডলের ছেলে। একই মামলায় অভিযান চালিয়ে উপজেলার ধুলিয়ানী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তিনি শাহাজাদপুর গ্রামের শাহাবুদ্দিনের ছেলে।

গ্রেফতার অন্যরা হলেন, উপজেলার পাশাপোল ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম। ফুলসারা ইউনিয়ন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মফিজুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক তোতা মিয়া। বুধবার বিকেলে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মিলন রহমান/এমএএইচ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।