পুলিশের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগে মহাসড়ক অবরোধ
রংপুরের তারাগঞ্জে হাইওয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা।
বুধবার (২ অক্টোবর) দুপুর ১টার দিকে তারাগঞ্জ চৌপথী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কের ওপর ট্রাক রেখে চালক ও শ্রমিক নেতারা বিক্ষোভ করেন। এতে একঘণ্টা ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে।
ট্রাকশ্রমিক ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা জানান, সকাল ৯টার দিকে ট্রাকচালক আতিয়ার রহমান তারাগঞ্জ বাজারে ট্রাকে মালামাল ভর্তি করে রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়ক দিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মহাসড়কের বালাবাড়ী এলাকায় তারাগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশের থানার সামনে চেকপোস্টে তার ট্রাক চেকিংয়ের জন্য থামায় পুলিশ। এ সময় কাগজপত্র দেখে ত্রুটি পাওয়ায় হাইওয়ে থানার এসআই রফিকুল ইসলাম ও সহকারী সার্জেন্ট পারভেজ হোসেন চালক আতিয়ার রহমানের বিরুদ্ধে মামলা দেন। এরপর বেলা ১টার দিকে হাইওয়ে থানা থেকে ট্রাক ফেরত এনে তারাগঞ্জ চৌপথী এলাকায় মহাসড়কের ওপর রেখে বিক্ষোভ শুরু করেন ট্রাকশ্রমিক ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা। পরে তারাগঞ্জ থানা-পুলিশ ও হাইওয়ে থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলের এসে বেলা ২টার দিকে মহাসড়ক থেকে নেতাকর্মীদের সরিয়ে নেন।
ট্রাকচালক আতিয়ার রহমান অভিযোগ করেন বলেন, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তারাগঞ্জ হাইওয়ে থানার সামনে পুলিশ সিগন্যাল দেয়। ট্রাক থামালে তারা আমার কাছে কাগজপত্র চান। আমি কাগজপত্র দেখাই। কাগজপত্রে কোনো ত্রুটি না থাকলেও এসআই রফিকুল ইসলাম ও সার্জেন্ট পারভেজ হোসেন আমার ড্রাইভিং লাইসেন্স হালকা এজন্য এক হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় তারা আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে মামলা দেয়। এ ঘটনা শুধু আজকের নয়, প্রতিদিনের। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
তারাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরীফুল ইসলাম বলেন, ওই চালকের কাগজপত্র ঠিক না থাকায় মামলা দেওয়া হয়। চাঁদা দাবির অভিযোগ ঠিক না। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তারা মহাসড়ক অবরোধ করেন।
তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে চালক, ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এখন যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
জিতু কবীর/আরএইচ/জিকেএস