টানা ২৪ ঘণ্টা নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক অবরোধ, যানচলাচল বন্ধ

উপজেলা প্রতিনিধি উপজেলা প্রতিনিধি সাভার (ঢাকা)
প্রকাশিত: ১১:৪২ এএম, ০১ অক্টোবর ২০২৪

থমকে আছে সাভারের নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক। সেই সঙ্গে আটকে আছে কয়েক হাজার যানবাহন। স্থবিরতা নেমে এসেছে এই সড়কে। দীর্ঘ সময় যানচলাচল বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষের পাশাপাশি অন্যান্য কারখানার শ্রমিকরা। এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে মহাসড়কে বার্ডস গ্রুপের শ্রমিকদের অবরোধের কারণে।

তারা বকেয়া বেতন ও সার্ভিস বেনিফিটসহ বিভিন্ন দাবিতে সড়কে অবস্থান নিয়েছেন। রাতেও সড়কে ছিলেন তারা। প্রায় ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও দাবি পূরণের আশ্বাস দেয়নি কোনো পক্ষ।

ফলে মঙ্গলবারও (১ অক্টোবর) সড়ক অবরোধ করে রাখেন শ্রমিকরা। এদিন সকাল ৮টার দিকে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের বাইপাইল থানা রোড এলাকায় গিয়ে দেখা যায় এ দৃশ্য। নারী-পুরুষ শ্রমিকদের মহাসড়কের উভয় পাশে বসে থাকতে দেখা গেছে। এর আগে সোমবার সকাল ৯টার দিকে মহাসড়কটি অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা।

টানা ২৪ ঘণ্টা নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক অবরোধ, যানচলাচল বন্ধ

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২৭ আগস্ট এক নোটিশের মাধ্যমে বার্ডস গ্রুপ লে-অফ ঘোষণা করে। এই নোটিশে লেখা হয়, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার কারণে বেশ কিছুদিন যাবৎ কারখানাতে কোনো প্রকার কাজ নেই। এরপরও কারখানা কর্তৃপক্ষ অব্যাহতভাবে আর্থিক লোকসানের মধ্যদিয়ে ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছিল। শতচেষ্টা করেও নতুন কোনো কাজের অর্ডার সংগ্রহ করতে পারেনি। যা কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণবহির্ভূত। এমতাবস্থায় ২৮ আগস্ট থেকে গ্রুপটির আর এন আর ফ্যাশনস লিমিটেড, বার্ডস গার্মেন্টস লিমিটেড, বার্ডস ফেডরেক্স লিমিটেড এবং বার্ডস অ্যান্ড জেড লিমিটেডের সব সেকশনের কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

টানা ২৪ ঘণ্টা নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক অবরোধ, যানচলাচল বন্ধ

শ্রমিকরা বলেন, ২৭ তারিখের ইস্যু করা নোটিশের মাধ্যমে ২৮ আগস্ট আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকার বার্ডস গ্রুপের সব কারখানা লে-অফ ঘোষণা করা হয়। এসময় শ্রমিক-কর্মচারীদের আগস্ট মাসের বেতন সেপ্টেম্বরের ১০ তারিখ ও সার্ভিস বেনিফিটসহ ক্ষতিপূরণ ৩০ সেপ্টেম্বর পরিশোধের দিন ধার্য করা হয়। চুক্তিমতো শ্রমিকদের বেতনের টাকা পরিশোধ করলেও ৩০ সেপ্টেম্বর সার্ভিস বেনিফিটসহ ক্ষতিপূরণের টাকা প্রদানের আরও তিন মাস সময় চায় প্রতিষ্ঠানটি। নির্ধারিত টাকা পরিশোধ না করায় শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন।

শিল্প পুলিশ জানায়, বিভিন্ন কারখানার অভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণে আজ শিল্পাঞ্চলে ১৩(১) ধারায় বন্ধ রয়েছে ৭টি কারখানা এবং আরও ৭টি কারখানায় সাধারণ ছুটি রয়েছে।

শিল্প পুলিশ-১ পুলিশ সুপার সারোয়ার আলমের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

মাহফুজুর রহমান নিপু/জেডএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।