ব্যবসায়ীর বাগান দখলের চেষ্টা, ৮০০ আমগাছ কর্তন
নওগাঁর পত্নীলায় আবুল হোসেন (৫০) নামের এক ফল ব্যবসায়ীর বাগানের ৮০০টি আমগাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে। এর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শহরের প্যারিমোহন গ্রন্থাগারে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।
আবুল হোসেনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নাম দেওয়ান এন্টারপ্রাইজ। তিনি ঢাকার সাভার জালেম্বর মহল্লার নিরাজ উদ্দিন দেওয়ানের ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নিজের অসহায়ত্ব তুলে ধরে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী জানান, ১২ বছর আগে এক ব্যবসায়ী বন্ধুর মাধ্যমে নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার ঘোষপাড়া গ্রামের মৃত গোপেন্দ্রনাথ ঘোষের ছেলে গৌতম ঘোষ ও মেয়ে মিতালী রাণী ঘোষের কাছ থেকে ৬০ লাখ টাকায় ৪ দশমিক ৩২ একর জমি কেনেন তিনি। পাটিচোরা ইউনিয়নের ছালিগ্রাম মৌজায় অবস্থিত ওই জমি কেনার পর সেখানে আমের বাগান গড়ে তুলেছিলেন। বর্গা দেওয়া ওই বাগানে গত চার বছর ধরে বারি-৪ জাতের আম ধরতে শুরু করেছে। যেখানে প্রতি মৌসুমে অন্তত ১০ লাখ টাকা আয় করে আসছিলেন তিনি। এরই মধ্যে গত ১৫ সেপ্টেম্বর পূর্ব পাটিচোরা গ্রামের নাঈম হোসেন ও তার দুই ভাই লেমন হোসেন এবং ছেলিম হোসেন ১৫-২০ জনকে সঙ্গে নিয়ে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাগানে ঢুকে আট শতাধিক আমগাছ কেটে ফেলেন।
আবুল হোসেন আরও জানান, আম বিক্রি করে সাংসারিক খরচ বহনের পাশাপাশি সন্তানদের ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয়ের পরিকল্পনা ছিল তার। বাগানটি কেটে সাফ করে ফেলায় প্রায় এক কোটি টাকার ক্ষতির মুখে পড়েছেন তিনি। ঢাকার বাসিন্দা এবং ব্যবসায়িক কাজে ব্যস্ত থাকার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সন্ত্রাসীরা তার কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা চাঁদা নেওয়ার পাঁয়তারা করছে। থানায় অভিযোগ করলেও প্রতিকার মিলছে না। তাই দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ী আবুল হোসেনের ছেলে শফিউল্লাহ দেওয়ান, ভাতিজা শোভন শাহারিয়ার উপস্থিত ছিলেন।
অভিযোগের বিষয়ে নাঈম হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘যে জমির আমগাছ কাটা হয়েছে তার প্রকৃত মালিকানা আমাদের নামে রয়েছে। ১৯৯১ সালে সরকার আমার ভূমিহীন পরিবারকে জমিটি পত্তনী দিলে সেটি খারিজ করে নিজেদের নামে হোল্ডিং করে রাখা আছে। আবুল হোসেন অভিযোগটি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। তিনি জমির প্রকৃত মালিক না হওয়া সত্ত্বেও প্রভাব খাটিয়ে জোরপূর্বক আমাদের জমি দখলে নেওয়ার চেষ্টা করছেন।’
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পত্নীতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েতুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, পুলিশ বিষয়টি একাধিকবার সমাধানের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে। পরে ওই ব্যবসায়ী আদালতে মামলা করেছেন। আদালত আগামীতে যে নিদের্শনা দেবেন, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসআর/এএসএম