‘হত্যাকারীরা আওয়ামী লীগের লোক হওয়ায় বিচার পাইনি’
লক্ষ্মীপুরে প্রায় পাঁচ বছর আগে মোরশেদ আলম নামে এক যুবক নিহতের ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার না পাওয়ার অভিযোগ এনেছে ভুক্তভোগী পরিবার। এতে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জের চৌরাস্তা বাজারে এলাকাবাসীর ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
এসময় নিহত মোরশেদের বড় ভাই সাবেক ছাত্রদল নেতা ও সাবেক ইউপি সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমর ভাই মোরশেদের মৃত্যু স্বাভাবিক ছিল না। তাকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকারীরা আওয়ামী লীগ সরকারের লোক হওয়ায় বিচার পাইনি। আমরা আবারও হত্যার ঘটনায় আইনের আশ্রয় নেবো।
পারিবারিক সূত্র জানায়, ২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর রাতে ভবানীগঞ্জ কলেজের পাশের স্থানীয় ইউপি সদস্য সেলিনা মেম্বারের বসতবাড়ি থেকে মোরশেদ আলমের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ওই নারী ইউপি সদস্যকে আসামি করে ছয়জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন মোরশেদের মা ফুলবানু। ২০২১ সালের অক্টোবরে মামলায় রায়ে খালাস পান আসামিরা। এ নিয়ে মোরশেদের পরিবার নিরুপায় এবং হতাশায় ছিল।
মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আসামিরা প্রভাব বিস্তার করে হত্যা মামলা থেকে রেহাই পেয়েছে। মোরশেদকে সুপরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হলেও পুলিশের সুরতহাল প্রতিবেদন এবং ময়নাতদন্ত রিপোর্ট মনগড়াভাবে করানো হয়। রিপোর্টে তার স্বাভাবিক মৃত্যু দেখানো হয়েছে। কিন্তু মরদেহের শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল। পুনরায় ময়নাতদন্তের মাধ্যমে মামলাটি পুনঃতদন্ত করে হত্যাকারীদের আইনের আওতায় আনা হোক।
স্থানীয় চৌরাস্তা ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সোহেল আদনানের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন লক্ষ্মীপুর সদর থানা (পূর্ব) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ্ মো. এমরান, জেলা যুবদলের সদস্য ও চৌরাস্তা ক্লাবের সভাপতি এসএম আজাদ, সদর থানা (পূর্ব) ছাত্রদলের সদস্য সচিব বায়েজিদ হোসেন ভূঁইয়া, নিহত মোরশেদের বড় ভাই সাবেক ইউপি সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ও জেলা কৃষক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক বাবু।
কাজল কায়েস/জেডএইচ/এমএস