শিক্ষাব্যবস্থায় নাস্তিক্যবাদ বরদাস্ত করা হবে না: মামুনুল হক

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ময়মনসিংহ
প্রকাশিত: ০৮:১০ পিএম, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
ময়মনসিংহে সমাবেশে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, শিক্ষাব্যবস্থায় নাস্তিক্যবাদ বরদাস্ত করা হবে না। শিক্ষা কমিশন থেকে নাস্তিক, মুরদাত ও বামদের সরাতে হবে। অবিলম্বে শিক্ষা কমিশনে ইসলামি শিক্ষাবিদ ও আলেমদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টায় ময়মনসিংহ নগরীর ঐতিহাসিক আঞ্জুমান ঈদগাহ মাঠে বৃষ্টিভেজা এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিগত ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গণহত্যার বিচার এবং নৈরাজ্যবাদের প্রতিবাদে ময়মনসিংহ জেলা ও মহানগর খেলাফত মজলিসের আয়োজনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

‘শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মানুষের ধর্মীয় অধিকার ছিনতাই করেছেন’ অভিযোগ করে মামুনুল হক বলেন, ‘আলেম-ওলামাদের মাহফিলে ১৪৪ ধারা জারি করে কোরআনের আওয়াজকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করেছিলেন। দেশের প্রতিটি জেলায় আমার মাহফিলে ১৪৪ ধারা জারি করে বন্ধ করে দিয়েছিলেন।’

তিনি বলেন, ‘এদেশের মানুষের ধর্মীয় ও অথনৈতিক অধিকার ছিনতাই করা হয়েছিল। বাকস্বাধীনতা, ভোটের অধিকার ছিনতাই করে এদেশে একনায়কতন্ত্র ও ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিলেন শেখ হাসিনা। কিন্তু জুলাই ও আগস্টের বিপ্লবের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ এই ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্ত হয়েছে। শেখ হাসিনা বাংলাদেশের স্বাধীনতা, মুসলিম জাতিসত্তা ও ইসলামের বিরুদ্ধে কাজ করেছেন। সংবিধান থেকে আল্লাহর ওপর অবিচল আস্থা ও বিশ্বাস তুলে দিয়েছেন। সমকামিতাসহ আইন, ধারা, উপধারা আমার দেশের শিক্ষাব্যবস্থার ওপর চাপিয়ে দিয়েছিলেন।’

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, শিক্ষাব্যবস্থায় নাস্তিক্যবাদ বরদাস্ত করা হবে না

মাওলানা মামুনুল হক বলেন, ‘দেশের প্রশ্নে, ইসলামের প্রশ্নে, মানবতার প্রশ্নে আমরা কারও সঙ্গে আপস করতে প্রস্তুত না। যদি হিন্দুত্ববাদী এবং ইসলাম বিরোধী কোনো এজেন্ডা পশ্চিমা বিশ্ব থেকে আমাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়, সেটাকেও আমরা রুখে দাঁড়াতে প্রস্তুত। হিন্দুত্ববাদী শিক্ষাব্যবস্থাকে উৎখাত করার জন্য আমরা সংগ্রাম করে যাচ্ছি।’

সমাবেশে অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ করে খেলাফত মজলিসের মহাসচিব বলেন, ‘শেখ হাসিনার পর ড. ইউনূসের সরকার। আমরা লক্ষণ কিন্তু ভালো দেখছি না। ঠান্ডা মাথায় আমরা কথা বলছি, আমাদের ভাষা বুঝবার চেষ্টা করেন। সমকামিতা ও অসভ্যতার নোংরামি এই বাংলাদেশে বরদাস্ত করা হবে না। বৈবাহিক সম্পর্কে ধর্ষণের নামে খবরদারি করার চেষ্টা করলে আমরা কারবালা তৈরি করবো। প্রয়োজনে আবার রক্ত দেবো, আবার শহীদ হবো।’

সমাবেশে খেলাফত মজলিস ময়মনসিংহ জেলা শাখার সভাপতি হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং রেজাউল করিমের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন আতাউল্লাহ আমিন, ফজলুর রহমান, আব্দুল মমিন, আবুল হাসনাত জামালী, মুফতি মোস্তাক আহমেদ, মানজির আহসান তাফসির প্রমুখ।

মঞ্জুরুল ইসলাম/এসআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।