ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ডিসি
আশুগঞ্জ-আগরতলা সড়কের ভাঙা অংশ মেরামত হবে নিজস্ব অর্থে
বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ অর্থায়নে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আশুগঞ্জ-আগরতলা চার লেন সড়কের কাজ চলছিল। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এই প্রকল্পে নিয়োজিত ৩০০ ভারতীয় নিজ দেশে চলে গেছেন। ফলে এই প্রকল্পের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। তবে এবার নিজস্ব অর্থে আশুগঞ্জ-আগরতলা নির্মাণাধীন সড়কটি চলাচলের উপযোগী করে তোলা হবে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ দিদারুল আলম এমনটি জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, আশুগঞ্জ-আগরতলা নির্মাণাধীন সড়কের বেহাল অবস্থার বিষয়ে আমি মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছিলাম। এরই প্রেক্ষিতে প্রধান উপদেষ্টা সড়কটি চলাচলের উপযোগী করে তুলতে প্রয়োজনীয় অংশ নিজস্ব অর্থে মেরামতের সম্মতি দিয়েছেন। এতে করে ভারতীয়দের আশায় বসে থাকতে হবে না।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে নবাগত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম এ কথা জানান।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, আশুগঞ্জ নদী বন্দর-সরাইল-ধরখার-আখাউড়া স্থলবন্দর মহাসড়ককে চার লেন জাতীয় মহাসড়কে উন্নীতকরণ প্রকল্পের গুরুত্বপূর্ণ দুটি প্যাকেজ ঢাকা-সিলেট এবং কুমিল্লা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহাসড়ক। প্রকল্পের এই অংশের রাস্তা ব্যবহার করে প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী ও পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল করে। কিন্তু প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত এ দুটি প্যাকেজভুক্ত সড়কের বেশ কিছু অংশে এখনো নতুন রাস্তা নির্মাণ শেষ না হওয়ায় জনভোগান্তি সীমাহীন পর্যায়ে পৌঁছেছে।
চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে অবস্থিত কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সব ভারতীয় নাগরিক নিজ দেশে চলে গেছেন। ফলে বর্তমানে এ রাস্তার কাজ বন্ধ। উল্লিখিত অংশগুলোতে দ্রুত মেরামত কাজ করা না হলে হতাহতসহ বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এ অবস্থায় জনদুর্ভোগের বিষয়টি বিবেচনাপূর্বক ঢাকা-সিলেট এবং কুমিল্লা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহাসড়কের ভাঙাচোরা অংশের রাস্তা দ্রুত মেরামতের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগকে নির্দেশনা প্রদান করা করতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভায় প্রধান উপদেষ্টা সম্মতি দিয়েছেন। এর ফলে দেশের নিজস্ব অর্থে এই সড়কের প্রয়োজনীয় অংশ মেরামত হবে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম জানান, আমরা চিঠি পাওয়ার পর দ্রুততম সময়ের মধ্যে মেরামত কাজ শুরু করতে সড়ক বিভাগের সাথে কথা বলেছি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসনের এডিসিরা ও প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বাহারুল ইসলাম মোল্লাসহ সাংবাদিকরা বিভিন্ন বিষয়ে মতামত প্রদান করেন।
আবুল হাসনাত মো. রাফি/জেডএইচ/জিকেএস