কুষ্টিয়ায় বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত ১০

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি কুষ্টিয়া
প্রকাশিত: ০৭:১৭ পিএম, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

কুষ্টিয়ার মিরপুরে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টার দিকে উপজেলার ঈগল চত্বরে সাবেক এমপি শহিদুল ইসলাম ও বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

আহতদের মধ্যে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রহমত আলী রব্বান, চঞ্চল ও আবু সাঈদকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা অন্যান্য স্থানে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদের মধ্যে রহমত আলী রব্বানের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। আহতরা সাবেক এমপি শহীদুল ইসলামের সমর্থক বলে জানা গেছে।

স্থানীয় বিএনপি নেতারা বলেন, সোমবার মনি নামে এক সার ব্যবসায়ীর কাছে সারের বৈধ চালান দেখতে চান সাবেক এমপি সমর্থিত উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রহমত আলী রব্বান। চালানোর বৈধ কোনো কাগজপত্র দেখাতে না পারার অভিযোগ তুলে ট্রাক আটকে রেখে উপজেলা কৃষি অফিসারকে খবর দেন তিনি। এ ঘটনায় বিএনপি নেতা রাগীব রউফ চৌধুরীর সমর্থকরা মনির পক্ষ নিয়ে ট্রাক থেকে জোর করে সার নামিয়ে নেয়। এতে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়।

এরপরই রব্বানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে ওই স্যার ব্যবসায়ী সংবাদ সম্মেলন করেন। এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকালে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেন বিএনপি নেতা রব্বান। এরপর উপজেলা কৃষি অফিসের সামনে রব্বানের ভাই জাহেদ আলীর সঙ্গে সার ব্যবসায়ীর ছেলে আসিফের বাগবিতণ্ডা হয়। এসময় ফুলবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি টিপু খুনকার আসিফের পক্ষ নিয়ে পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম আলীর বাগবিতণ্ডা হয়। বিষয়টি জানতে পেরে বিএনপি নেতা রব্বানের লোকজন আসিফকে মারধর করে। এ ঘটনার কিছু পর টিপু খুনকারের নেতৃত্বে তার লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে রব্বান গুরুতর আহত হন।

উপজেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক মারফত আফ্রিদী বলেন, ফুলবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি টিপু খুনকারের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়েছে। এতে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রহমত আলী রব্বান, তার দুই ভাই ও ভগ্নিপতি আহত হন। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে।

তবে উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ আব্দুল হক কুষ্টিয়ার বাইরে রয়েছেন জানিয়ে বিষয়টি এড়িয়ে যান।

মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা হাবিবুল্লাহ বলেন, বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

আল-মামুন সাগর/এএইচ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।