জামায়াতের ১১ শীর্ষ নেতাকে বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যা করা হয়েছে: আমির
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, গত সাড়ে ১৫ বছরে সবচেয়ে বেশি জুলুম-নির্যাতনের শিকার হয়েছে জামায়াত। দলের শীর্ষ ১১ নেতাকে জুডিসিয়াল কিলিংয়ের (বিচারবহির্ভূত হত্যা) মাধ্যমে দুনিয়া থেকে বিদায় করা হয়েছে। জেলে তিলে তিলে নেতাদের মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিরাজগঞ্জ দারুল ইসলাম একাডেমি মাঠে রোকন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, তারা চেয়েছিল আমাদের নেতারা যেন প্রাণভিক্ষা চান। কিন্তু তারা আল্লাহ ছাড়া কারো কাছেই মাথা নত করেননি। শুধু তাই নয়, অন্যায়ের প্রতিবাদ যারাই করেছেন তাদের ওপরই জুলুম নেমে এসেছে।
তিনি বলেন, এখন জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজন। জাতির মৌলিক ইস্যুতে আমাদের অবশ্যই ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। সব দল তার নিজস্ব জায়গা থেকে রাজনীতি করবে। বিবেকের তাড়নায় যা বলার তা বলবে, সরকারেরও প্রয়োজনীয় সমালোচনা করবে। আবার এ সরকার যেন সংস্কারের কাজগুলো সঠিকভাবে করতে পারে তার জন্য পর্যাপ্ত সহযোগিতাও দেবে। এভাবে ভারসাম্যপূর্ণ রাজনীতির মধ্যে দিয়ে সবাই এগিয়ে যাক। দল-মত ভিন্ন থাকবে এটিই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য।
জেলা জামায়াতের আমির শাহীনুর আলমের সভাপতিত্বে সম্মেলনে জামায়াতের ইসলামের সেক্রেটারি মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, নির্বাহী পরিষদের সদস্য অধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিন, ঢাকা দক্ষিণের নায়েবে আমির ড. হেলাল উদ্দিন, আবু তালেব মণ্ডল ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য প্রফেসর ড. মাওলানা আব্দুস সামাদসহ জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এম এ মালেক/আরএইচ/জিকেএস