ভিআইপির জন্য ঘাটে আধাঘণ্টা আটকে থাকলো ফেরি

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি শরীয়তপুর
প্রকাশিত: ০১:৫৫ পিএম, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

চাঁদপুর হরিণা ফেরিঘাট থেকে শরীয়তপুর নরসিংহপুর ফেরিঘাটে ছেড়ে আসা একটি ফেরি ভিআইপি বিড়ম্বনায় আধা ঘণ্টার বেশি সময় ধরে অপেক্ষা করেছে বলে অভিযোগ সাধারণ যাত্রী ও চালকদের।

শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে শরীয়তপুর ঘাটে এসে এ অভিযোগ করেন যাত্রীরা।

যাত্রী ও গাড়ি চালকরা জানায়, শুক্রবার বিকেলে চাঁদপুর হরিণা ফেরিঘাট থেকে শরীয়তপুর নরসিংহপুর ফেরিঘাটে আসার জন্য ফেরি কেতুকিতে উঠেন তারা। ফেরিটি যাত্রী-পরিবহনে ভর্তি হলেও বিলম্ব করতে থাকে। পরে বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করলে এক ভিআইপি যাবেন বলে জানান তারা। আধাঘণ্টা পরে ওই ভিআইপ গাড়ি নিয়ে আসলে ফেরিটি ছাড়ে। ভিআইপি বিড়ম্বনায় দেরি করে ফেরিটি ছাড়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন সাধারণ যাত্রী ও চালকরা।

সাইমুন ইসলাম নামের এক ট্রাকচালক বলেন, চট্টগ্রাম থেকে মালামাল নিয়ে মাদারীপুর যাচ্ছি। ফেরিতে উঠার পর বললো একজন ভিআইপি আসবে তাই দেরি হবে। আধাঘণ্টা, চল্লিশ মিনিট অপেক্ষা করেছি। আসলে ওনাদের অধিকার বেশি, আমাদের কম। যদি সবাইকে সমান মাপা হতো দেশটা আরও সুন্দর হতো।

সিরাজ শেখ নামের এক যাত্রী আক্ষেপ করে বলেন, ভিআইপিদের জন্য ফেরি আগেও থেমেছে এখনো থামছে আর ভবিষ্যতেও থামবে। কারণ কেউ সমান অধিকার পায় না।

এ বিষয়ে ওই ভিআইপি বলেন, আমি শুধু ফেরি কখন ছাড়বে বিষয়টি ফোনে জানতে চেয়েছিলাম। তারা আমার জন্য অপেক্ষা করেছে কিনা জানি না। ভিআইপি কেবিন ব্যবহারের ক্ষেত্রে কোনো টাকা দিতে হয়েছে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাকে তারা এখানে থাকতে দিয়েছেন। আমি চাইনি।

কেতুকি ফেরির চালক ইব্রাহিম শেখ বলেন, আমাকে উপর থেকে বলা হয়েছিলো ঘাটের কাছাকাছি একজন ভিআইপি চলে এসেছে। একটু অপেক্ষা করতে হবে। তাই কিছুক্ষণ অপেক্ষা করেছি। এর বাইরে কিছু জানি না।

তবে এ ব্যাপারে জানেন না বলে জানান চাঁদপুর হরিণা ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক ফয়সাল আলম। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমার জানা নেই। এছাড়া কেউ আসবে কি-না আমাকে জানানো হয়নি। বর্তমানে ফেরি ঘাটে যানবাহন সংকট রয়েছে। এজন্য অনেক সময় যানবাহনের জন্য ফেরি ঘাটে অপেক্ষা করে।

বিধান মজুমদার অনি/এএইচ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।