ভাতিজাকে হত্যার দায়ে চাচার ফাঁসি


প্রকাশিত: ০৯:১২ এএম, ০৪ মে ২০১৬

রংপুরের পীরগাছায় ভাতিজাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার দায়ে চাচা আসাদুল ইসলামকে (৩৪) ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এ রায় দেন।

এসময় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার অপর দুই আসামিকে খালাস দেয়া হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, পীরগাছা উপজেলার গঙ্গানারায়ন গ্রামের রিনা বেগম (৩৫) তার স্বামী আনোয়ার হোসেন মোজার মৃত্যুর পর থেকে ছেলে রেজওয়ান (৬) ও এক মেয়েকে নিয়ে শশুর নজ্জব আলীর দ্বিতীয় বাড়িতে বসবাস করতে থাকেন। স্বামীর মৃত্যুর পর তার দেবর আসাদুল তাকে বিভিন্ন সময়ে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন কিন্তু রিনা এতে রাজী ছিলেন না। এছাড়াও ছেলে মারা যাবার পর নজ্জব আলী তার নাতী রেজওয়ানের নামে ৫৬ শতক জমি রেজ্রিস্ট্রি করে দেন। এতে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন আসাদুল।

ঘটনার দিন ২০০৭ সালের ১৫ এপ্রিল সকাল থেকে রেজওয়ান হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যান। পরের দিন ১৬ এপ্রিল দুপুরে রেজওয়ানের দাদা নজ্জব আলী বাড়ির পাশে শুকনা পুকুর খনন করতে গিয়ে রেজওয়ানের মরদেহ বালুচাপা অবস্থায় দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে শিশু রেজওয়ানের মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় রিনা বেগম বাদী হয়ে ওই দিনই তার সৎ শাশুড়ী বছিরন ওরফে খরকি, দেবর আসাদুল এবং আসাদুলের প্রেমিকা একই এলাকার নুর আলমের স্ত্রী নাজমা বেগমকে আসামি করে পীরগাছা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, আসাদুলের প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় এবং সম্পত্তির লোভে সে ও তার সৎ শাশুড়ী বছিরন যোগসাজোস করে নাজমা বেগমের বাড়িতে ছেলে রেজওয়ানকে শ্বাসরোধে হত্যার পর বাড়ির পাশে পুকুরে বালুচাপা দিয়ে রাখে।
 
দীর্ঘদিন মামলাটি আদালতে বিচারাধীন থাকার পর বুধবার বেলা দেড়টার দিকে এর রায় ঘোষণা করা হয়। রায়ে আসাদুলের ফাঁসি ও অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বছিরন ও নাজমাকে খালাস প্রদান করা হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় তিন জনই আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

বাদী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাড. ফারুক মো. রেজাউল করিম এবং আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাড. জহিরুল হক।

জিতু কবীর/এফএ/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।