ছাগলনাইয়া থানায় লুটপাট: ওসির মামলায় আসামি ১০ হাজার
ফেনীর ছাগলনাইয়া থানায় গত ৫ আগস্ট বিশৃঙ্খল জনতার অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে। মামলায় ৮-১০ হাজার অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ছাগলনাইয়া থানায় মামলাটি দায়ের করেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসান ইমাম।
ছাগলনাইয়া থানা পুলিশের তথ্যমতে, ঘটনার দিন বিকেল ৪টার দিকে সংঘবদ্ধ উশৃঙ্খল জনতা প্রথমে ছাগলনাইয়া থানায় অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করে। একই সময় থানায় সংরক্ষিত ২৩টি অস্ত্রসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ও মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে ২৩টি অস্ত্রের মধ্যে ১৮টি থানায় জমা দেওয়া হয়েছে বলেও নিশ্চিত করে থানা কর্তৃপক্ষ।
৫ আগস্ট ছাগলনাইয়া থানায় অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনায় থানার সকল মামলার নথিপত্র, ওয়ারেন্ট, কম্পিউটার, পুলিশের ৪টি গাড়ি, থানা কমপ্লেক্সে রক্ষিত ৪৭টি মোটরসাইকেলসহ সকল আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আগুনে ভস্মীভূত হয় থানার প্রশাসনিক ভবন, পুলিশ ব্যারাক, ওসির বাসভবনসহ সকল স্থাপনা। এ ঘটনায় ছাগলনাইয়া থানার অন্তত ১০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসান ইমাম। ঘটনার দিন ওসি হাসান ইমামসহ পাঁচজন পুলিশ সদস্য আহত হন।
মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে ছাগলনাইয়া থানার ওসি মো. হাসান ইমাম জানান, ৫ আগস্ট বিকেলে আমিসহ ডিউটিরত পুলিশ সদস্যরা থানা কমপ্লেক্সে অবস্থান করছিলাম। হঠাৎ সংঘবদ্ধ উশৃংখল জনতা থানায় এসে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করে এবং পুলিশের ওপর হামলা করে। এ সময় থানার সকল আলামত পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
ঘটনার সময় কেউ পুলিশকে উদ্ধার করতে এগিয়ে আসেনি উল্লেখ করে তিনি জানান, উশৃঙ্খল জনতা কর্তৃক অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও হামলায় আমরা অসহায় হয়ে পড়ি। পরবর্তীতে থানার অস্ত্রসহ মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। লুট হওয়া অস্ত্রের মধ্যে ৩টি পিস্তল ও ২টি শটগান ছাড়া বাকি ১৮টি অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে বলে জানান তিনি।
ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে আসামিদের গ্রেফতার করা হবে উল্লেখ করে ওসি জানান, পুলিশের পক্ষ থেকে ঘটনার সকল তথ্য উপাত্ত, ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসি টিভি ফুটেজ এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রচার হওয়া সকল ভিডিও ফুটেজ দেখে আসামিদের শনাক্ত করে গ্রেফতার করার প্রক্রিয়া চলছে৷
আবদুল্লাহ আল-মামুন/এফএ/এএসএম