চারদিনের বৃষ্টিতে মেহেরপুরে সবজি ক্ষেত নিয়ে বিপাকে চাষিরা
টানা ৪ দিনের বৃষ্টি আর মাঝারি ঝড়ে মেহেরপুরে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে উঠতি আউশ ধান এবং সবজির ক্ষতি হয়েছে বেশি।
শুক্রবার বিকেল থেকে শুরু হয় বৃষ্টি আর মাঝারি ঝড়। সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত একইভাবে অব্যাহত থাকে। এতে পানির নিচে তলিয়ে গেছে নিচু এলাকার জমির ফসল। সবজি ক্ষেতে পানি জমে থাকায় গাছ মরতে শুরু করেছে। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে মরিচক্ষেত। আউস মৌসুমের ধান কাটা যাদের বাকি ছিল তারাও পড়েছেন চরম বিপাকে।
এছাড়াও নিচু এলাকার আমন ধান তলিয়ে গেছে পানির নিচে। দীর্ঘ কয়েক বছর অনাবৃষ্টির এই জেলায় আকস্মিক প্রচুর বৃষ্টিপাতের ফলে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।
কৃষক জাহিদুল ইসলাম জানান, দেড় বিঘা জমিতে আউশ ধান রয়েছে। চারদিন টানা বৃষ্টিতে ধান কাটতে পারেননি। এভাবে আর কয়েকদিন চলতে থাকলে বড় রকমের লোকসানে পড়তে হবে।
সবজিচাষি মিলন হোসেন জানান, গেলো চারদিন টানা বৃষ্টির কারণে ১০ কাঠার মরিচক্ষেত নুয়ে পড়েছে। মরিচক্ষেতে পানি জমেছে। এইভাবে বৃষ্টি চলতে থাকলে পুরো মরিচক্ষেত নষ্ট হয়ে যাবে।
কৃষক জাব্বারূল জানান, গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে বেগুনের জমিতে হাঁটুপানি জমেছে। বৃষ্টি আর কয়েকদিন চলতে থাকলে বেগুনক্ষেত পুরো নষ্ট হয়ে যাবে।
কৃষক আরশেদ আলী জানান, এক বিঘা জমিতে গিষ্মকালীন পেঁয়াজ রয়েছে। পেঁয়াজের জমিতে হাঁটুপানি জমেছে। এইভাবে বৃষ্টি চলতে থাকলে পুরো পেঁয়াজক্ষেত নষ্ট হয়ে বড় রকমের লোকসানে পড়তে হবে।
বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ এবং মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে মেহেরপুর জেলাসহ খুলনা বিভাগের সব জেলায় বৃষ্টিপাত ও ঝড় হয় বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
মেহেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিজয় কৃষ্ণ হালদার জানান, টানা তিন দিনের বৃষ্টিতে রোপা আমনসহ ৪২২৫ হেক্টর জমির ফসল আক্রান্ত হয়েছে। এর পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মরিচক্ষেত। এরপরই রয়েছে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ।
আসিফ ইকবাল/এফএ/জিকেএস