শেখ হাসিনার রাজনীতি ছিল প্রতিশোধের: মামুনুল হক

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নীলফামারী
প্রকাশিত: ১০:০৮ পিএম, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, ১৯৭৫ থেকে ২০২৪ শেখ হাসিনার এই ৫০ বছরের রাজনীতি ছিল প্রতিশোধের রাজনীতি। বাংলাদেশের মানুষের কাছ থেকে তিনি প্রতিশোধ নিয়েছেন। এদেশের মানুষ যেন মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে সে ব্যবস্থা করেছেন। দেশটা যেন তলাবিহীন ঝুড়িতে রূপান্তরিত হয় সে ব্যবস্থা তিনি করেছেন।

রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নীলফামারী বড় মাঠে খেলাফত মজলিস জেলা শাখার আয়োজনে গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।

৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থান ও বিপ্লবকে নস্যাৎ করার জন্য ষড়যন্ত্র চলছে বলেও অভিযোগ করেন মামুনুল হক। তিনি বলেন, ‌‘বিপ্লবকে ছিনতাই করার পাঁয়তারা চলছে। আমাদের অতীতের অনেক অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাই সব নেতাকর্মীসহ দেশের সাধারণ জনগণকে সজাগ ও সোচ্চার থাকতে হবে। আমাদের গণঅভ্যুত্থানের আগের সুদৃঢ় ঐক্যকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ও গণঅধিকার পরিষদসহ সবার প্রতি আমার উদাত্ত আহ্বান থাকবে, এত দ্রুত শেখ হাসিনা পরবর্তী বাংলাদেশকে নিরাপদ ভাবার কোনো কারণ নেই।’

মাওলানা মামুনুল হক বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানের মুখে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেও বাংলাদেশকে নিরাপদ ভাবার সুযোগ নেই। কারণ শেখ হাসিনা ও তার পরামর্শদাতারা বসে নেই। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তারা ষড়যন্ত্রের জাল বুনছেন।’

সংখ্যালঘুদের নির্যাতনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা সংখ্যালঘুদের নির্যাতন করে, বিভক্ত করে, তাদের অধিকার কেড়ে নিয়ে বাংলাদেশের একটি বিভক্ত সমাজ ও দেশকে বিভক্ত রাষ্ট্রে পরিণত করেন। তিনি রাতের বেলায় হিন্দু-বৌদ্ধদের উপাসনালয়ে কালনাগিনী হয়ে হামলা করতেন, সকালে ওঝা হয়ে ঝাড়তেন। তার পতনের পর বাংলাদেশ এখন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উদাহরণে পরিণত হয়েছে।’

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব জালাল উদ্দিন আহমেদ, আতাউল্লাহ আমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক মুসা, নীলফামারী জেলা শাখার সভাপতি গোলাম রব্বানীসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা।

ইব্রাহিম সুজন/এসআর

 

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।